আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুলাই ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

ডিএসই’র আয় বাড়াতে পাশে থাকবে বিএসইসি

Brocarage Associationশেয়ারবাজার রিপোর্ট: মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথককরণ (ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন) পরবর্তী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসই-কে লাভজনক করতে এর পাশে থেকে সকল ধরনের সহযোগীতা করবে বিএসইসি।

আজ ১৬ জুন তারিখে রাজধানীর মতিঝিলের মধুমিতা ভবনে ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নতুন অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এ সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক টিটু, বিএসইসি কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, কমিশনার আবদুস সালাম শিকদার, বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান, ডিএসই চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিঞা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো: ছায়েদুর রহমান, ডিএসই’র পরিচালনক শাকিল রিজভি ও ডিএসই’র নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খায়রুল হোসেন বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করা ছিল একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতায় এ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।

ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশনের কার্যক্রম শুরুতে সংশ্লিষ্ট ট্রেক-হোল্ডারদের কাছে আমাদের ওয়াদা ছিল এটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা। রিজার্ভ থেকে ডিভিডেন্ড না দিয়ে ডিএসই বাৎসরিক আয় থেকেই যাতে ডিভিডেন্ড দিতে পারে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এর জন্য যে সমস্ত সহযোগীতা প্রয়োজন ডিএসইৎর পাশে থেকে বিএসইসি সেসব সহযোগীতা করবে।

অবশ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী বিষয়ে বিএসইসি কঠোর থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

তিনি বলেন, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি ডিএসই’র বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনাকে বাস্তাবায়নের এ চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলার জন্যেআহবান করেন।

এদিকে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াতে ভাল কোম্পানির (সরকারি হোক কিংবা বহুজাতিক হোক) তালিকাভুক্তি জরুরি। তাই তিনি ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে আহবান করেছেন এ বিষয়ে যথাযথ সহায়তা করার জন্য।

এই সময় ডিএসই’র এক ট্রেক-হোল্ডার চেয়ারম্যানকে শনিবার এক্সচেঞ্জ খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার দাবী জানান। এতে ডিএসই’র প্রতিবছর ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

বিএসইসি’র কমিশনার ও ডিএসই’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, ডি-মিউচ্যুয়ালাইজ পরবর্তী সময়ে বিএসইসি’র দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা মালিকানার কাছ থেকে ন্যুনতম দূরত্ব বজায় রাখে। এর আগে ডিএসই’র মালিকারাই প্রতিষ্ঠানটি চালাতেন। হঠাৎ করে সেটা বন্ধ হয়ে গেল। তারা তখন সরাসরি ব্যবস্থাপনার কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারতেন না। তাই এখানে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল। সেজন্য ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার সময় আমি একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রয়োজনীয়তা অনুভোব করছিলাম। বর্তমানে ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন পূর্ণাঙ্গ আকার পেয়েছে। একটি অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে এটি ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগীতা করবে বলে আমার বিশ্বাস। বিদেশেও আমি দেখেছি বিশেষ করে আমেরিকায় ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনই পুঁজিবাজারের আইন-কানুন ঠিকমতো পালন হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছে। ফলে সেখানকার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই এ বিষয়ে তেমন মনোযোগ দিতে হচ্ছে না। বরং তারা অ্যাসোসিয়েশনকে বলতে বাধ্য হচ্ছে আপনারা বড় বেশি নজরদারী বা ভেজাল করেন।

তিনি আরও বলেন, সিডিবিএল চার্জ পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। যার সুফল ট্রেক-হোল্ডাররাসহ সমগ্র বিনিয়োগকারীরা পাবেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন কাজ করবে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফাইন্যান্সিয়াল লিটার‌্যাসি গড়ে তুলতে দেশব্যাপি যে কার্যক্রম বিএসইসি নিয়েছে ব্রোকার্স অ্যাসোসেয়শন এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে। পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশনও নিজস্ব উদ্যোগে শিক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.