আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জুলাই ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

অপেক্ষায় আরও দুই ব্যাংক

bsec-bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আইনি সীমায় নামিয়ে আনতে বিশেষ সুযোগ পেয়েছে বাণিজ্যিক ১০ ব্যাংক। এর বাইরে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ ব্যাংককে মূলধন বাড়িয়ে পুঁজিবাজারের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ দিয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো এবি, দ্য সিটি, ন্যাশনাল, শাহ্জালাল ইসলামী, সাউথইস্ট, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, মার্কেন্টাইল, পূবালী, আইএফআইসি ও জনতা ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, উল্লিখিত ১২টি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আইনি সীমার চেয়ে বেশি ছিল। ব্যাংকগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করে আইনি সীমার নিচে নামিয়ে আনতে পারে, সে জন্য মূলধন বাড়িয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের বিকল্প সুযোগ তৈরি করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৭ এপ্রিল গভর্নর ফজলে কবির বিকল্প এ ব্যবস্থাটির অনুমোদন দেন। এরপর ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে মূলধন বাড়িয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের অনুমোদন চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করা হয়। ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব আবেদন অনুমোদন করে।

উল্লেখ্য, আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র কমিশন সভায় ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারির মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান।

সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ওই ব্যাংকের আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন আর্নিংসের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ এই সীমার বেশি ছিল, সেসব ব্যাংককে তা আগামীকালের (২১ জুলাই) মধ্যে সীমার নিচে নামিয়ে আনতে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

কিন্তু ১২ ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার অতিরিক্ত থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সমন্বয় করা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে এ বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য সময় বাড়ানোরও দাবি তোলা হয়। কারণ হিসেবে শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয় করতে হলে ব্যাংকগুলোকে অনেক শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ার বিক্রি না করে অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের জন্য বিকল্প একটি নীতি সহায়তার সুযোগ তৈরি করে দেয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে সব ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আইনি সীমার মধ্যে চলে আসছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, শেয়ারবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সুযোগ দিয়েছে। যারা আবেদন করেছে, তাদের মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে সব ব্যাংকের বিনিয়োগ আইনি সীমার মধ্যে চলে আসবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.