বাজারে ঢুকছে বিদেশি টাকা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যান এক সম্মেলনে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তা সত্ত্বেও ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদেশি এবং প্রবাসীদের প্রকৃত বিনিয়োগ এসেছে ১০০ কোটি টাকা। অথচ এর আগের প্রান্তিকে বিদেশিদের প্রকৃত বিনিয়োগ ৯০ কোটি টাকা কমেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০১৫-২০১৬ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদেশি এবং প্রবাসীরা এক হাজার ৫০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তিন মাসে ৮২০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিলেন। সুতরাং দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে বিদেশিদের শেয়ার কেনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
এর বিপরীতে বিদেশি এবং প্রবাসীরা তৃতীয় প্রান্তিকে ৯৫০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির পরিমাণ ছিল ৯১০ কোটি টাকা। সুতরাং দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি ৪.৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১০০ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিকে বিদেশিদের প্রকৃত বিনিয়োগ ৯০ কোটি টাকা কমেছিল।
এদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে ডিএসই’র মোট টার্নওভারের ৮.২ শতাংশ বিদেশিদের। এর আগের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশিদের টার্নওভার ছিল ডিএসই’র মোট টার্নওভারের ৫.৫ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এখনও ছোট অবস্থায় রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমাদের দেশে ডিএসই’র পিই রেশিও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে ডিএসই-তে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড (৩.৮৯) দক্ষিণ এশিয়াতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তাই ডিএসই এখন বিদেশিদের বিনিয়োগের উপযোগী অবস্থানে রয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এক সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলেছেন, দেশের শেয়ারবাজারে এখনও বিদেশি বিনিয়োগ অনেক কম। এ কারণে ব্রেক্সিটের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া) প্রভাব দেশের শেয়ারবাজারে পড়েনি। যদিও এ কারণে ভারতের শেয়ারবাজার সূচক একদিনে এক হাজারের বেশি পয়েন্ট পড়েছিল। তিনি বলেন, এমন নেতিবাচক প্রভাবের কারণে কেউ বিদেশি বিনিয়োগ না থাকাটাকে ভালো মনে করেন, তা কিন্তু ঠিক হবে না। আমরা একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করব। আবার এর ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেব।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ