সচেতনতা তৈরিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে ডিএসই
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশব্যাপী ফিনান্সিয়াল লিটারেসি কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিএসই বিএসইসি’র সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই কার্যক্রমটি সারা দেশে পরিচালনা করার জন্য কাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের সচেতনভাবে বিনিয়োগ করার জন্য এই কার্যক্রমটি অত্যন্ত প্রয়োজন।
২৪ জুলাই, ২০১৬ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেনিং একাডেমীতে ডিএসই’র বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিদের জন্য আয়োজিত বিএসইসি’র ফিনান্সিয়্যাল লিটারেসি প্রোগ্রামে ডিএসই’র নব নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এ. কে. এম. মাজেদুর রহমান এসব কথা বলেন। এই প্রোগ্রামটি ২৪ ও ২৫ জুলাই দুই দিন কয়েকটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকে। বিনিয়োগে ক্ষতি যাতে না হয় এজন্য বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। আর যদি বিনিয়োগ সঠিক হয় এরপরও সেনসেটিভিটি অ্যানালাইসিস করা প্রয়োজন। তারপরও যদি কোন বিপত্তি ঘটে তবে এর ফলে যতটুকু ক্ষতি হতে পারে সেটুকু পুষিয়ে নেয়ার মত আর্থিক সক্ষমতা আছে কিনা এই সব বিষয়ে সজাগ হয়ে সতর্কভাবে বিনিয়োগের জন্যেই বিএসইসি এই প্রোগ্রাম চালু করেছে। ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির মাধ্যমে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে, যার মাধ্যমে পুঁজিবাজার টেকসই, প্রাণবন্ত এবং লাভজনক বাজার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
ডিএসই’র প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বলেন, ডিএসই’র ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের একটি উদ্দেশ্য হলো জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা। আর বিএসইসি ফিন্যান্সিয়্যাল লিটারেসি কার্যক্রমটি সেচ্ছায় পরিচালনা করছে। এজন্য তারা ১০ বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলে যদি এই কার্যক্রমটি সফল করতে সহায়তা করে তবে এটি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং এর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গড়ে উঠবে।
ফিন্যান্সিয়্যাল লিটারেসি বিষয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ মাহবুবুল আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমীর ইনচার্জ ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মিসেস হোসনে আরা পারভিন।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ