ডিএসই’র ৬ মাসের প্রতিবেদন: সব খাত ছাড়িয়ে শীর্ষে প্রকৌশল
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে (জানু ‘১৬ থেকে জুন’১৬) খাত ভিত্তিক লেনদেন বাড়ার শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত এবং সবচেয়ে বেশি কমেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডিএসই’তে প্রকৌশল খাতের খাত ভিত্তিক লেনদেন ২.৬৩ শতাংশ বেড়ে লেনদেন বাড়ার শীর্ষে অবস্থান করছে। অন্যদিকে খাত ভিত্তিক লেনদেন কমার শীর্ষে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে লেনদেন কমেছে ৩.৯৪ শতাংশ।
এর মধ্যে, ব্যাংক খাতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানু’১৬ থেকে জুন’১৬) মোট ২২৮ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ৯১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৭.৫৭ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২০৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার, ৩ হাজার ৫০২ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ৭.৩৫ শতাংশ।
একই ভাবে, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে মোট ১০৮ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৫.৬৭ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৭৯ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার, ১ হাজার ৮৮৪ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ৩.৯৫ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৬১ কোটি ৬৫ লাখ ইউনিট লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৩৬১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ০.৭০ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট, ৪৪৬ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ০.৯৪ শতাংশ।
বীমা খাতে ৩৩ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ১২৬ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ২.১৭ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২১ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, ৮৭৪ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ১.৮৩ শতাংশ।
প্রকৌশল খাতে ১৪৭ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৮ হাজার ৭৯ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১৫.৬২ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১২৮ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার, ৬ হাজার ১৯২ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ১২.৯৯ শতাংশ।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ৪৬ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ৫৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৫.৯০ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার, ১ হাজার ৯৩৭ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪.০৬ শতাংশ।
পাট খাতে ৫৮ লাখ ১০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৯৩ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ০.১৮ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার, ৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ০.০৯ শতাংশ।
বস্ত্র খাতে ৩০৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৫ হাজার ৭৫১ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১১.১২ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৯৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার, ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ৯.৯৬ শতাংশ।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৪৬ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৮ হাজার ৩২৪ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১৬.০৯ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৮৬ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার শেয়ার, ৭ হাজার ৩২৫ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ১৫.৩৭ শতাংশ।
কাগজ ও মুদ্রন খাতে ৪ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ১০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ০.২০ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৮ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার, ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ০.৩৯ শতাংশ।
সিমেন্ট খাতে গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৯ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৮২০ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৩.৫২ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৩ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার, ১ হাজার ৭৩১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ৩.৬৩ শতাংশ।
চামড়া খাতে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৬৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ০.৭১ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার, ২৮৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ০.৬১ শতাংশ।
সিরামিক খাতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭৬৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১.৪৯ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১৬ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার, ৭৬৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ১.৬১ শতাংশ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮ হাজার ৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১৫.৪৭ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার, ৯ হাজার ২৫১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ১৯.৪১ শতাংশ।
সেবা ও আবাসন খাতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ২.০৬ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৩০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার শেয়ার, ২ হাজার কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ৪.২০ শতাংশ।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১ হাজার ১৪১ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ২.২০ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার, ১ হাজার ২৫৫ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ২.৬৩ শতাংশ।
টেলিকমিউনিকেশন খাতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯২৯ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১.৮০ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১০ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, ২ হাজার ২৪৭ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৪.৭১ শতাংশ।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৭২ কোটি ৯৭ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০৯ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ১.৩৭ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৭৮ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার শেয়ার, ১ হাজার ১২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ২.৩৬ শতাংশ।
বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ৫৬ কোটি ৭ লাখ শেয়ার, ১ হাজার ৮৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩.৮৮ শতাংশ।
এবং ৭০ হাজার কর্পোরেট বন্ড লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং পুরো স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের ০.০১ শতাংশ। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ৪০ হাজার বন্ড, ১২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ০.০৩ শতাংশ।
শেয়ারবাজারনিউজ/সো/রু