ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করল সিভিও
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: কনডেনসেট (গ্যাসের উপজাত) বাজারে ছেড়ে দিয়ে জ্বালানি তেল ভেজাল করার অভিযোগ অস্বীকার করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করল সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল। এমন অভিযোগের কারণে প্রথম পর্যায়ে জ্বালানি তেলের উপজাত কনডেনসেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এমনকি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, সরকারী কোনো সংস্থা যেন ‘ভেবেচিন্তে’ সংবাদ প্রকাশ করে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানায় তারা।
তবে তেলের উপজাত কনডেনসেট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে পেট্রোবাংলা এ প্রসঙ্গে কোন ব্যাখ্যা দেয়নি কোম্পানিটি।
ব্যাখ্যায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবী করে, কোনো অনৈতিক কাজ নয় বরং ৫৩৩ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করেছে কোম্পানিটি। প্রকাশিত সংবাদে দাবী করা হয়, কনডেনসেট বিপিসি’র বাইরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারী রিফাইনারি কোম্পানিগুলো উৎপাদিত পেট্রোল ও ডিজেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করে। যা বিপণনের জন্য সরকারী কোম্পানি পদ্মা ও মেঘনার কাছে বিক্রি করা হয়। উৎপাদিত বাকি উপজাতগুলো ভ্যাট চালানের ৮ নং শর্ত অনুযায়ী, নিজ উদ্যোগে বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে এমটিটি ও এসএস-১ নামের উপজাত দুটি বিভিন্ন শিল্পে কাঁচামাল ব্যবহার করে। দেশী কোম্পানিগুলো এ কাঁচামাল উৎপাদন করায় দেশের বাইরে থেকে এগুলো আমদানী করতে হয় না। যা কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে ৩৭.৯৩ টাকায় বিক্রি করলেও দেশের বাইরে রপ্তানী করলে ১৭ টাকা করে রপ্তানী করতে হত। কোম্পানির হিসেবে প্রায় এভাবে সরকারের প্রায় ৫৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সাশ্রয় হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উৎপাদিত সব কনডেনসেট বিপিসি নেওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরে বিপিসি কনডেনসেট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এর ফলেই কোম্পানি নন-ফুয়েল উপজাত তৈরী করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবী করা হয় যা পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানী মন্ত্রনালয়কে জানানো হয়েছে। ফলে কোনো কার্যক্রমই অনৈতিক নয় বলে দাবী করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি কনডেনসেট বিপিসি’র বাইরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জোর দাবী করে সিভিও কর্তৃপক্ষ।
বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ও দৈনিক ১৫০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন প্লান্ট আছে দাবী করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ