নিশ্চয়ই মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন? আর এজন্য দায়ী কি?
শেয়ারবাজার ডেস্ক: আপনি যাঁকে ভালোবাসেন, সেই মানুষ জীবনের একটা পর্যায়ে আপনার বিশ্বাস ভেঙে অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় জড়াতে পারেন। এ রকম প্রতারণা মেনে নেওয়া নিশ্চয়ই কঠিন। কিন্তু এড়ানোর উপায় কী? এ ক্ষেত্রে সঙ্গীর বয়স নিয়ে কিছু সতর্কসংকেত জেনে নিন, কাজে লাগতেও পারে।
প্রিয়জন বা জীবনসঙ্গীর প্রতি মানুষের প্রতারণার প্রবণতা নিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, ৩৯ বছর বয়সটা ‘বিপজ্জনক’। এ বয়সে নিজ সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে বাদ দিয়ে অন্য কারও প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া ২৯ ও ৪৯ বছরেও এ রকম আচরণ কিছুটা দেখা যায়। নারী ও পুরুষ—উভয়ের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য।
ইললিসিটএনকাউন্টার্স ডট কম নামের একটি ওয়েবসাইটের উদ্যোগে সম্পন্ন এ গবেষণার ওপর প্রতিবেদন ছেপেছে যুক্তরাজ্যের দ্য সান পত্রিকা। এ বিষয়ে অন্যান্য গবেষণা কী বলছে? যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে ২০১৪ সালে দেখা যায়, জীবনের প্রতিটি নতুন দশকের শুরুতে মানুষের আচরণে পরিবর্তন আসে। এ বিষয়ে পৃথক ছয়টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ অনুযায়ী একক স্থানে ‘৯’ আছে যেসব সংখ্যায়, সেসব বয়সে (২৯, ৩৯, ৪৯, ইত্যাদি) নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
অচেনা নারী-পুরুষের সাক্ষাৎ নির্ধারণের কয়েকটি ওয়েবসাইটের তথ্য এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। গবেষকেরা দেখতে পান, এসব ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৮২০ জন। তার মধ্যে একক স্থানে ‘৯’ আছে এমন সংখ্যার বয়সের পুরুষ ৯ লাখ ৫২ হাজার ১৭৬ জন। অর্থাৎ এ রকম বয়সী পুরুষের সংখ্যা অন্যান্য বয়সীর তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
তবে ইললিসিটএনকাউন্টার্সের ওই গবেষণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যার শিক্ষক ক্রিস্টিন মান্চ। তিনি বলেন, এমনিতে বিশ্বাসঘাতকতা এমন একটা বিষয়, যা নিয়ে গবেষণা করা খুব কঠিন কাজ। কারণ, এই প্রবণতা বা ব্যাপারটা মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেসব মানুষ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়তে চায়, তারা নিজেদের সঠিক বয়স না-ও লিখতে পারে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মা