আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৩ অগাস্ট ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

মূসক প্রত্যাহার চেয়েছে বিএসইসি

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া বিভিন্ন ফি এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানিগুলো। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় আরোপিত মূসক প্রত্যাহার চেয়ে সম্প্রতি একটি চিঠিও দিয়েছে বিএসইসি।

গত ২৬ এপ্রিল বিএসইসি’র কাছে এনবিআরের দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সনদ, নিবন্ধন, অনুমোদন ইত্যাদি বাবদ মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে নেওয়া ফি থেকে বিএসইসি’কে ১৫ শতাংশ হারে মূসক পরিশোধ করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ১৯ (ই) ধারা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে হিসাব করে এ মূসক জমা দিতে হবে।

এ বিষয়ে গত ১১ আগস্ট বৃহষ্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ানদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর হেলাল উদ্দীন নিজামী সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বিএসইসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি, কাস্টডিয়ান এবং ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর এনবিআরের মূসক আরোপ সমর্থনযোগ্য নয়।

কারণ হিসেবে বিএসইসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ কারণে মূসক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

তাই এনবিআরের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে বিএসইসি একটি চিঠি ইস্যু করেছে। চিঠিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর আরোপিত মূসক প্রত্যাহারের জন্য এনবিআরের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি বলছে, সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মূসক আরোপ করা হয়। কিন্তু সম্পদ ব্যবস্থাপক বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সংগ্রহ করে মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন করে। আর এ ফান্ড পরিচালনা থেকে কেউই সেবা পায় না।

চিঠিতে বিএসইসি বলছে, যখন কোন বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে তখন তাকে মূসক দিতে হয় না। অথচ আরোপিত মূসক প্রদান করা হলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যয় বাড়বে। এতে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ কমে যাবে। তাই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনীহা তৈরি হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বিনিয়োগকারীদের আয়ের ওপর আয়কর অব্যাহতি রয়েছে। তাই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ যৌক্তিক হবে না।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকারের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ অর্থ ব্যবস্থাপনা ব্যয় করা যায়। ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৫০ লাখ টাকার বেশি বাড়বে। এতে ব্যবস্থা ব্যয়ের আইনি সীমা লঙ্ঘন হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে একাধিক সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সাথে আলাপ হলে তারা জানায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দেয়া বিভিন্ন ফি এর ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ খুবই অযৌক্তিক। এ বিষয়ে বিএসইসি’র সাথে একাদিক বৈঠক হয়েছে। ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহারে বিএসইসিও একমত।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.