শেয়ারবাজার ডেস্ক: জুলাইয়ে যেসব ভারতীয় নাগরিক কালো টাকার কথা ঘোষণা করে কর ও জরিমানা পরিশোধ করেছেন, আগস্ট শেষের আগেই তারা কর কমিশনারের স্বীকৃতি পাবেন। একই সঙ্গে কালো টাকার মালিকদের আয় ঘোষণার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। খবর দ্য হিন্দু।

ভারত সরকার কালো টাকার মালিকদের জন্য ঘোষিত ইনকাম ডিসক্লোজার স্কিমের (আইডিএস) সময়সীমা বাড়িয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজস্ব বিভাগের ফরম-২-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। এ ফরমের মাধ্যমে কালো টাকার বিপরীতে কর ও জরিমানা পরিশোধকারীরা সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতিপত্র পাবেন।

আইডিএস বিধি অনুযায়ী, কালো টাকার কর ও জরিমানা পরিশোধের ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রিন্সিপাল কমিশনার ও কমিশনার কর পরিশোধকারীর নামে ফরম-২ ইস্যু করবেন।

ভারতের আয়কর বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, আইডিএস বিধিতে পরিবর্তনের কারণে জুলাইয়ে যারা কালো টাকার কথা ঘোষণা করেছেন, তাদের ফরম-২ ইস্যুর সময় ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।

চলতি স্কিমের অধীনে যেসব ভারতীয় নাগরিকের দেশের অভ্যন্তরে অঘোষিত আয় রয়েছে, তারা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজেদের অর্থ-সম্পদের কথা ঘোষণা করতে পারবেন।

অতীতে যারা সম্পূর্ণ কর পরিশোধ করেননি, তারা এখন কর, সারচার্জ ও জরিমানা পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন। এ বাবদ তাদের ঘোষিত আয়ের ৪৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভারত সরকার গত মাসে আইডিএস স্কিমের অধীনে কর ও জরিমানা বৃদ্ধির সময়সীমা বাড়ায়। এর আওতায় আয় ঘোষণাকারীরা আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে তিন কিস্তিতে কর, সারচার্জ ও জরিমানা পরিশোধের সুযোগ পাবেন।

আইডিএস ২০১৬-এর অধীনে প্রথম কিস্তিতে কর, সারচার্জ ও জরিমানার ২৫ শতাংশ চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এর পর আগামী বছরের মার্চের মধ্যে কর, সারচার্জ ও জরিমানার আরো ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। সরকারের অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করতে হবে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

এর আগে আইডিএস ২০১৬-এর অধীনে কর, সারচার্জ ও জরিমানা পরিশোধের জন্য চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়ানো হয়।

সিবিডিটির এক আদেশে বলা হয়েছে, আইডিএসের অধীনে কর, সারচার্জ ও জরিমানা পরিশোধের সময়সীমা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ফরম-২-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে।

এর আগে জুনে সিবিডিটি আইডিএসের অধীনে কালো টাকার ঘোষণা প্রদানকারীদের জন্য চারটি ফরম ইস্যু করে। ই-ফাইলিং অথবা ম্যানুয়াল ফাইলিংয়ের ক্ষেত্রে এ চারটি ফরম প্রয়োজ্য হবে।

ভারতের কর বিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানান, ফরম-১-এর মাধ্যমে কালো টাকার মালিক যে সম্পদ ঘোষণা করছেন, তার বিবরণ পেশ করবেন। ফরম-২-এর মাধ্যমে প্রিন্সিপাল কমিশনার এ ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেবেন। ফরম-৩ ও ফরম-৪-এর মাধ্যমে ঘোষিত সম্পদের কর ও জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

শেয়ারাবাজারনিউজ/মু