বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষ করেছে বাংলাদেশ।
গত ৩০ জুন শেষ হওয়া গেল অর্থবছরে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ঘাটতির এই পরিমাণ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কম।
২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক জায়েদ বখত বলছেন, আমদানি খাতে খরচ ততোটা না বাড়া এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানি তেলের দাম কমায় আমদানি খাতে খরচ কমেছে। সে কারণে এবার আমদানি খাতে ব্যয় খুব বেশি বাড়েনি। অন্যদিকে রপ্তানিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ।
আর পণ্য রপ্তানি থেকে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) আয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৪ কোটি ১০ লাখ (৩৩.৪৪ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবে ঘাটতি থাকছে ৬২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আগের অর্থবছর আমদানি খাতে ব্যয় হয় ৩ হাজার ৭৬৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার; রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ঘাটতি ছিল ৬৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় পণ্য বাণিজ্যে বরাবরই ঘাটতিতে থাকে বাংলাদেশ।
ছয় বছর আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৫১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার ছিল, পরের অর্থবছরই তা বেড়ে ৯৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ওই পরিমাণ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সেবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি।
পণ্য বাণিজ্যের পাশাপাশি সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে গত অর্থবছর।
২০১৪-১৫ অর্থবছরের এ খাতের ঘাটতি ছিল ৩১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তা কমে ২৭৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ