সংশোধন হচ্ছে পরিচালকদের শেয়ার ধারণ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের বিষয়টি সংশোধন করা হচ্ছে। পরিশোধিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে চারটি ধাপে পরিচালকদের শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা করার প্রস্তাব ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রনালয়ে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া সম্প্রতি এ বিষয়ে আইনী মতামত চাওয়ার জন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুব আলমের কাছেও চিঠি দেয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে পরিচালকদের শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা নিয়ে অর্থমন্ত্রনালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটির ওপরে কিন্তু ৫০০ কোটি টাকার নিচে সেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিচালকরা এককভাবে ন্যূনতম ১.৫ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। ৫০০ কোটির ওপরে কিন্তু ১ হাজার কোটি টাকার নিচে এমন পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে পরিচালকরা ন্যূনতম ১ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ১৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবে। এছাড়া ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির পরিচালকরা এককভাবে ন্যূনতম ০.৫০ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করবে।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত একাধিক ব্যাংকসহ ৪২ কোম্পানি রয়েছে যেখানে পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করা নেই।
জানা যায়, ২০১০ সালের দেশের শেয়ারবাজারে মহা পতনের পর ২০১১ সালে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরায় ফিরে পেতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক পরিচালক ব্যাক্তিগতভাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে কম পক্ষে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। আর এ নির্দেশনা পালনের জন্য ৬ মাসের সময় বেঁধে দেয়া হয়।
বেঁধে দেয়া ডেডলাইনের মধ্যে যেসব পরিচালকরা শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয় তাদের স্বপদ ছেড়ে দিতে হয়। এক পর্যায়ে একাধিক পরিচালক এ বিষয়ে আদালতে রিট দায়ের করে। রিট দাখিলের পর ২০১৪ সালের ১৪মে কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের ব্যাক্তিগত ভাবে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারনের বাধ্যবাধকতাকে অবৈধ ঘোষনা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এর পরের দিন ১৫ মে বিএসইসির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী বিএসইসির জারিকৃত এ নির্দেশনাটি সংশোধন হওয়া প্রয়োজন মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাই এ বিষয়ে সংশোধন করার জন্য অর্থমন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি অ্যাটর্নী জেনারেলের কাছেও আইনী সহায়তা চেয়েছে বিএসইসি।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা