আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ অগাস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

ইতালিতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৪৭

italyশেয়ারবাজার ডেস্ক: ইতালির মধ্যাঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭ জনে পৌঁছেছে। দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাতের দেশটির মধ্যাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পে শত-শত মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।

ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলের আমব্রিয়া, লাৎজিও এবং মার্কে প্রদেশে জীবিতদের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি যে অঞ্চলে আঘাত হানে সেটি রাজধানী রোম থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি পার্বত্য অঞ্চল। আক্রান্ত এলাকার শুধুমাত্র একটি শহরেই অন্তত ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।

ঐতিহাসিক আমাত্রিচে শহরের মেয়র বলেছেন, ভূমিকম্পে শহরটির তিন-চতুর্থাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারী কাজে সহায়তা করার জন্য ইতালির সেনাবাহিনীকেও সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে।

সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করে আমাত্রিচে থেকে ইতালির রেড ক্রসের মুখপাত্র টমাসো ডেলা লংগা বলেন, ‘যে মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ভয়াবহ। শহরের কিছু অংশ মাটির সাথে প্রায় মিশে গেছে। এই অবস্থার মধ্যে আমরা রাতের খাবার তৈরি করার জন্য কিছু রান্নার ব্যবস্থা করছি। সেটি যদি সম্ভব না হয় তাহলে আগামীকাল আমরা খাবার তৈরি করব। দিনভর সবচেয়ে বড় সমস্যাটি ছিল ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলোতে নিয়ে যাওয়া।’

এর আগে ওই এলাকা পরিদর্শন করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাটিও রেনজি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পের পরপরই রাতের বেলা সেখানে উপস্থিত হয়ে খালি হাতে জীবিতদের উদ্ধার করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের প্রতিও তিনি সম্মান জানান।

ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া আরেকটি শহর আক্কুমোলির মেয়র স্টেফানো পেত্রুচ্চিস বিবিসিকে বলেন, তিনি আর জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশা করছেন না। এখন তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আক্রান্ত মানুষদের জন্য রাত কাটানোর সুব্যবস্থা করা।

মধ্য ইতালিতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও পুরো ইতালিজুড়েই বুধবার ভোররাতের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দিনভর আরো কিছু ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই এলাকায়।

সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৯ সালে, যাতে তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়াও ২০১২ সালে নয় দিনের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্পে ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.