পুঁজিবাজার থেকে আশুগঞ্জ পাওয়ারের এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সরকারি মালিকানাধীন আশুগঞ্জ পাওয়ার সেন্টশন কোম্পানি লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে বন্ডের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বন্ড ইস্যুর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সম্প্রতি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ন সচিব হুমায়ুন কবির শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম বছর স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। বাকী ৪০০ কোটি টাকা এর পরের বছর সংগ্রহ করা হবে।
এর জন্য ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি ইউনিট মিলে মোট ১৪০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ ভাগ জোগান দেয় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন।
কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর অধীনে ২০০০ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এর জন্যই তারা পুঁজিবাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে প্রথম বছরেই প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে, ১৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০x২) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন পটুয়াখালী সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০x২) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন উত্তরবঙ্গ সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ৮০ মেগাওয়াট সোলার গ্রীড টাইড পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ৪৫০ মেগাওয়াট কমবাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলে এ প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ পাওয়ার ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে লাভ করছে। ২০১২-১৩ সর্বোচ্চ লাভ করেছে ৭১.৮৬ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন লাভ করেছে ২০১৪-১৫ সালে ৩৬.৭৬ কোটি টাকা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ৬৬১ কোটি টাকা। মোট সম্পদ ৭ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা, মোট দায় ৬ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা এবং নিট সম্পদ এক হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ