বিপর্যয়ে শ্রীলংকা: ১৩৩ অলআউট
শেয়ারবাজার ডেস্ক: একাদশতম বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালে সাইথ আফ্রিকার স্পিনে বিপর্যয়ে শ্রীলংঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার। শেষ ভরসা হিসেবে থাকা কুমার সাঙ্গাকারাকেও ফিরিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। মরনে মরকেলের বলে ডেভিড মিলারের তালুবন্দি হন সাঙ্গাকারা। আউট হওয়ার আগে তিনি ৯৬ বলে ৪৫ রান করেন। এরপরই বৃষ্টির কারণে সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এসময়ে ৩৬.২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে লংঙ্কানরা।
বৃষ্টি বিরতির পর ১২৭ রানের সাথে ৬ রান যোগ করতে সক্ষম হন দুসমান্থা চামিরা এবং লাসিথ মালিঙ্গা। ৩৮কম ওভারে ইমরান তাহিরের বলে মিলারের হাতে তালুবন্দি হন মালিঙ্গা। অবশেষে ৩৭.২ ওভারে ১৩৩ রান করে অলআউট হয় লংঙ্কানরা।
এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কাইল অ্যাবোটের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো কুইন্টন ডি ককের অসাধারণ এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা। আউট হওয়ার আগে তিনি ১০ বলে মাত্র ৩ রান করেন।
শুরুতেই উইকেট হারানো লঙ্কানদের আরেক ওপেনার দিলশানকে ফেরান ডেল স্টেইন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফাফ ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হওয়ার আগে দিলশান কোনো রানই সংগ্রহ করতে পারেননি। দলীয় ৩ রানে কুশল পেরেরা আর দলীয় ৪ রানে দিলশান সাজঘরে ফেরেন।
দলীয় ৪ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর কিছুটা সর্তক থেকে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং লাহিরু থিরিমান্নে। তবে, ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম বলে থিরিমান্নেকে দুই ওপেনারের দেখানো পথে যেতে বাধ্য করেন ইমরান তাহির। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ৪৮ বলে ৪১ রান করা থিরিমান্নেকে সাজঘরে পাঠান তাহির। থিরিমান্নে আর সাঙ্গাকারা মিলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন।
লাহিরু থিরিমান্নে আউট হওয়ার পর ব্যাটিং ক্রিজে আসেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। তবে, এ ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে ফাফ ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হয়ে আউট হওয়ার আগে জয়াবর্ধনে করেন ১৬ বলে মাত্র ৪ রান।
দলীয় ৮১ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে সাঙ্গাকারা এবং লঙ্কান দলপতি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে, ইনিংসের ৩৩তম ওভারে জেপি ডুমিনির করা শেষ বলে ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন লঙ্কান দলপতি। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩২ বলে ১৯ রান করেন। এরপর ইমরান তাহির ফেরান থিসারা পেরেরাকে।
আর পরের ওভারের প্রথম দুই বলে কুলাসেকারা এবং অভিষেক ম্যাচে নামা থারিন্ডু কুশলকে ফেরান ডুমিনি। ফলে, বিশ্বমঞ্চে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন ডুমিনি।
ইমরান তাহির ৪টি, ডুমিনি ৩টি, মরকেল, অ্যাবোট ও স্টেইন নেন ১টি করে উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ফাঁফ ডু প্লেসিস, রিলে রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, কাইল অ্যাবোট, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল ও ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কা দল: তিলকারত্নে দিলশান, লাহিরু থিরিমান্নে, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (অধিনায়ক), কুশাল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, দুসমান্থা চামিরা, নুয়ান কুলাসেকারা, থারিন্ডু কুশল ও লাসিথ মালিঙ্গা।