আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

ঢাবির ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে ফল বিপর্যয়

dhaka university_DU_ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়_ঢাবিশেয়ারবাজার ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করেছে।পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র ৪৬ জন। যা গত বছর গণিত বিভাগ ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিভাগের ফল বিপর্যয়কেও ছাড়িয়ে গেছে। গত ৩১ আগস্ট (বুধবার) এ ফল প্রকাশিত হয়েছে।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিভাগের এক কোর্সেই (কোয়ন্টাম ফিজিক্স -২) ৯৯ শিক্ষার্থীর ৩০ জন কৃতকার্য হতে পারেননি। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ৩৭ থেকে ৩৯ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ‘স্যার চাইলেই উত্তীর্ণ করে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। স্নাতক (সম্মান) পর্বের শেষ পর্যায়ে এমন ফলাফল শিক্ষার্থাদেরকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলছে। শিক্ষার্থীদের আশা খুব শিগগিরই রেজাল্ট রিভিউ করা হবে। মানবিক দিক থেকে শিক্ষকরা এই খাতা এবং ফলাফল রিভিউ করবেন। এতে করে বিভাগের ফলাফলে ২০ শতাংশ পরিবর্তন হবে বলেও প্রকাশ করেন তারা।

পূর্ণ ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে চতুর্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষায় ৯৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। যাদের মধ্যে মাত্র ৪৬ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। বাকী ৫৩ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য রয়ে গেছে। এছাড়া যারা কৃতকার্য হয়েছেন তাদের মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী ৩.৫০ এর উপরে সিজিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ৩.০০ এর নিচে সিজিপিএ পেয়েছেন ৫ জন।

এত সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুস ছাত্তারে সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সদ্য চেয়ারম্যান থেকে অবসরে যাওয়া বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাসিমা ফেরদৌস বলেন, কেন ফল খারাপ হয়েছে জানি না। আমি চতুর্থ বর্ষের কোনো কোর্স পড়াই না। তাদের পরীক্ষার সঙ্গেও যুক্ত নয়। চেয়ারম্যান থাকলে হয়তো কারণ জানতে পারতাম।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.