অর্থমন্ত্রনালয়-বিএসইসি চুক্তি: আরো ৮ আইপিও অনুমোদন পাচ্ছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) জন্য অর্থমন্ত্রনালয়ের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চুক্তিতে ১১টি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিতে বিএসইসিকে শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর এতে বাজার মূলধন ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়াতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৩টি আইপিও’র অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শর্তানুযায়ী আরো ৮টি আইপিও অনুমোদন পাবে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে কর্মসম্পাদন চুক্তিতে এমন শর্ত দেওয়া হয় বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, প্রতি অর্থবছরের মত এ অর্থবছরেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পর্যালোচনায় কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগের বছরগুলোর মত এ বছরের চুক্তির মধ্যে বিএসইসি’কে ন্যূনতম ১১টি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব অনুমোদনের শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়।
১১টি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেওয়ার মধ্যে চলতি অর্থবছরে একটি কোম্পানি ও দুটি মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কমিশন। কোম্পানীগুলো হলো- প্যাসিফিক ডেনিমস, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড এবং সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
তালিকার অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো বাজার থেকে ২৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। যার মধ্যে প্যাসিফিক ডেনিমস ৭৫ কোটি টাকা, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড ৯৫ কোটি টাকা এবং সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
এর আগে গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বিএসইসিকে ১০টি কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। তার আগের অর্থবছরে (২০১৪-১৫) ১৪টি কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদনের শর্ত দেওয়া হয়। যা সফলভাবে বিএসইসি লক্ষ্য পূরণ করেছে।
এছাড়া এর আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বাজার মূলধন বৃদ্ধিতে বিএসইসিকে ৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অর্থবছর (২০১৪-১৫) মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে বিএসইসি’র মুখপাত্র মোঃ সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, প্রতি অর্থবছরে মন্ত্রনালয়ের সাথে আমাদের কর্মসম্পাদন চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী কমিশন কাজ করে।
আইপিও ইস্যুতে তিনি বলেন, মন্ত্রনালয়ের সাথে আমাদের ১১টি আইপিও অনুমোদনের চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আমরা অনুমোদন দিবো। তবে এ আ্ইপিও অনুমোদন নির্ভর করে বাজার পরিস্থিতির উপর। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হতে পারে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এমআর/ম.সা