সহায়তা না করায় ১১ বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: গ্রাহকের পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) রেকর্ডপত্র না দেয়ায় ১১ বীমা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল রোববার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান দুদককে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেনি এবং সহযোগিতা করছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদক টিম ইতিপূর্বে রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিলেও ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো আশানুরূপ সাড়া দেয়নি। এ কারণে তাদের ফের তাগিদপত্র দেয়া হয়েছে। আশা করি এর মর্মার্থ অনুধাবন করে তারা দ্রুত রেকর্ডপত্র সরবরাহ করবেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ অভিযোগের অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এ প্রক্রিয়ায় উপপরিচালক জালালউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম কাজ করছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু রেকর্ডপত্র হস্তগত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বীমার বেশ ক’জন কর্মকর্তাকে। এ ধারাবাহিকতায় যে ১১টি প্রতিষ্ঠান তথ্য-উপাত্ত দেয়নি সেগুলোকে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে তাগিদপত্র দেয়া হয়েছে। তাগিদপত্র দেয়া বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- পপুলার লাইফ, ডেল্টালাইফ, ফার-ইস্ট ইসলামী লাইফ, প্রাইম লাইফ, সানলাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, সন্ধানী লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, রূপালী লাইফ, বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
দুদক আইনের ১৯(৩) ধারা উল্লেখ করে দেয়া চিঠিতে রেকর্ডপত্র না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে দুদককে কেউ রেকর্ডপত্র দিয়ে সহযোগিতা না করলে এ ধারায় মামলা হতে পারে। এ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হরে ৩ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অফিস ব্যবস্থাপনা খরচ দেখিয়ে ১৭ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বীমা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত অডিট প্রতিবেদনে দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ২৮ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় ১৭ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হলেও ৬টি প্রতিষ্ঠান অধিকাংশ রেকর্ডপত্র সরবরাহ করে। এর ভিত্তিতে দুদক টিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ