আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার |

kidarkar

এক বছরে শীর্ষ ২০ তালিকায় হট আইটেমের ১৭ কোম্পানি

DSEশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত (১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে ৩১ আগস্ট ২০১৬) এক বছরে ৪.১৯ শতাংশ কমেছে। এর পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশেরই দর কমেছে। এদিকে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় মাত্র তিনটি বড় মূলধনী ছাড়া বাকি সব হট আইটেমের বা স্বল্প মূলধনী কোম্পানি অবস্থান করছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত লেনদেন হওয়া দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেড ছাড়া সবই স্বল্প মূলধনী কোম্পানি।

গত এক বছরে ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ২২৩টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৮টির। এদিকে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ ২০-এ জায়গা করে নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি, ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেড ছাড়া সবই স্বল্প মুলধনী কোম্পানি।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দরবৃদ্ধির তালিকায় থাকা কোম্পানিরগুলোর মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- মডার্ন ডায়িং ২২৮ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড ২৩২ শতাংশ ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ২২৫ শতাংশ।

এর মধ্যে মডার্ন ডায়িং প্রায় ছয় বছর ধরে তাদের কারখানা ভবনের ভাড়া দিয়েই চলছে। চলতি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত লোকসানে চলে এসেছে কোম্পানিটি। জেমিনি সি ফুড এ ক্যাটাগরির ছোট মূলধনী কোম্পানি। বিলম্বিত কর সমন্বয়ের কারণে গেল হিসাব বছরে তাদের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

এদিকে মূল ব্যবসা লুব্রিক্যান্ট ব্লেন্ডিংয়ে লোকসান দেখালেও ট্রেডিং ও অন্যান্য কার্যক্রমের সুবাদে মুনাফা অস্বাভাবিক বেড়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের।

এছাড়া গত এক বছরে  মডার্ন ডায়িং, জেমিনি সি ফুড, ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ছাড়াও শেয়ারদর দ্বিগুণ হয়েছে আরো ৫ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- দেশ গার্মেন্টস, আজিজ পাইপস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, কে অ্যান্ড কিউ, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেড। এর মধ্যে দেশ গার্মেন্টস ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর মুনাফায় থাকলেও লোকসানে রয়েছে বাকি দুটি কোম্পানি। লোকসান টানতে টানতে কে অ্যান্ড কিউ এরই মধ্যে তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। আগামীতে কী ব্যবসা করা যায় এখন পর্যন্ত তা নিয়েই ভাবছে কোম্পানিটি।

এদিকে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় উঠে এসেছে কিন্তু শেয়ারদর ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে এমন  কোম্পানি আছে ৭টি। কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাম্বি ফার্মা, শ্যামপুর সুগার, মুন্নু স্টাফলার্স, ইবনে সিনা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, লিবরা ইনফিউশন্স ও প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

অন্যদিকে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ তালিকায় উঠে এসেছে কিন্তু শেয়ারদর ৫০ শতাংশের কম বেড়েছে এমন দুটি সিকিউরিটিজ হলো ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ও আরামিট লিমিটেড।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হ্রাস-বৃদ্ধির তালিকায় স্বল্প মূলধনী কোম্পানির এ প্রাধান্যের কারণেই ছোট সীমার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজারের সূচকগুলো। তাছাড়া গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছোট কোম্পানির দর বাড়া নিয়ে বাজারে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোয় দর অনেকটাই বেড়ে যায়। আর সে সময় বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হওয়ায় স্বল্প মূলধনী শেয়ারে দরবৃদ্ধির একটি প্রবণতা দেখা যায়। তবে ছোট মূলধনী কিংবা দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারদর সহজেই প্রভাবিত হয় বলে এসব শেয়ারে বিনিয়োগের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদে খুব সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।

শেয়ারবাজারনিউজ/এমআর

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.