আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সোমবার |

kidarkar

বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তারে একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে বিএসইসি

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: সুশিক্ষিত বিনিয়োগকারী গড়তে এবার ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম)’ প্রতিষ্ঠা করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিনিয়োগ শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) বিধিমালা, ২০১৬ নামে একটি খসড়া আইন তৈরি করেছে কমিশন। খসড়া আইনটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া আইনে একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

খসড়া আইনটির ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তারের জন্য কমিশনের ফান্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগের তত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম)’ নামে একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে।

একাডেমি বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক জনসাধারণকে বিনিয়োগ ও সিকিউরিটিজ মার্কেট সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা, পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স এবং কমিশন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কোর্স পরিচালনা ও সনদ প্রদান করবে। এক্ষেত্রে কমিশনের অনুমতি নিয়ে একাডেমি বিনা ফি’তে কোর্স পরিচালনা করতে পারবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা চাইলে বিনা খরচেও একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এছাড়া একাডেমি কমিশনের অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন কোর্সের জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ফি নিতে পারবে এমন সুযোগও খসড়া আইনে রাখা হয়েছে।

একাডেমির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বোর্ড অব গভর্নস গঠন করা হবে। খসড়া আইনের ১৪ ধারা অনুযায়ী কমিশন একাডেমির বোর্ড গঠন করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যমান বোর্ডকে পুনর্গঠন করার ক্ষমতাও কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একাডেমির প্রধান এবং উপ-প্রধান নির্বাহী হবেন যথাক্রমে মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক। এ দুই পদে দায়িত্ব পালন করবেন বিএসইসি’র একজন নির্বাহী পরিচালক ও একজন পরিচালক। এছাড়া বোর্ডের অনুমোদনক্রমে একাডেমি প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করবে। তবে কমিশনের বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের একাডেমিতে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

একাডেমির ব্যয় নির্বাহ বিষয়ে খসড়া আইনের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, একাডেমির সকল ব্যয় নির্বাহ করার জন্য ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করা হবে। তহবিলে কমিশন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোন বৈদেশিক সংস্থা দ্বারা প্রদত্ত অনুদান বা অন্য কোন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং একাডেমির আয় জমা হবে।

এর আগে পুঁজিবাজার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কোর্স পরিচালনার জন্য কমিশন ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) প্রতিষ্ঠা করেছিল।

বিআইসিএমের পাশাপাশি একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসইসি’র কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, বিআইসিএমের পাশাপাশি এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

এর যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইসিএম) এর পাশাপাশি ট্রেডিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য দুটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবো।

এদিকে খসড়া আইনে দেশব্যপী বিনিয়োগ শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কমিশন সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে। দেশব্যপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যয় নির্বাহের জন্য কমিশন ‘বিনিয়োগ শিক্ষা তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করবে। তহবিলটি ব্যবস্থাপনার জন্য কমিশন ‘তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করবে। তহবিলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, এক্সচেঞ্জ, ডিপজিটরি, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি, ইস্যুয়ার এবং অর্থ ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, কোন বৈদেশিক সংস্থা দ্বারা প্রদত্ত অনুদান বা কোন প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতা খাত বা অন্য কোন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা হবে।

খসড়া আইনের ২২ ধারায় প্রত্যেক এক্সচেঞ্জ, ডিপজিটরি, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি, অন্যান্য আত্ম নিয়ামক সংস্থা, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান এবং ইস্যুয়ার কোম্পানি বিনিয়োগ শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিশন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পৃথক বিভাগ, ওয়ার্কিং গ্রুপ ইত্যাদি গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.