একমি: ডিভিডেন্ডের আশায় শেয়ার ছাড়ছে না প্রাতিষ্ঠানিকরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দ্বিতীয় ধাপে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) লকইন থেকে মুক্ত হয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা আরো ২৫ শতাংশ শেয়ার। লকইন থেকে এবার দ্বিতীয় ধাপের শেয়ার মুক্ত হওয়ার পরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি বিক্রিতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে আগামী কাল (২০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার) বিকেলে বোর্ড সভার ডাক দিয়েছে একমি ল্যাব। যেখানে ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য ডিভিডেন্ডের ঘোষণা আসতে পারে। তালিকাভুক্তির পর এটিই হবে কোম্পানির প্রথম ডিভিডেন্ড ঘোষণা। একই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে মোটা অংকের শেয়ার রয়েছে। যার বিনিময়ে প্রাতিষ্ঠানিকরা ভাল ডিভিডেন্ডের আশায় শেয়ারগুলো বিক্রি করছেন না বলে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারূদের কাছ থেকে জানা গেছে।
বুক বিল্ডিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী মোট শেয়ারের মধ্যে লকইন থাকবে ৫০ শতাংশ শেয়ার। এর মধ্যে প্রসপেক্টাস অনুমোদনের তিন মাসের মাথায় প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ শেয়ার এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬ মাসের মাথায় বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার লকইন থেকে মুক্ত হবে। এর অংশ হিসেবে কোম্পানিটির লকইন থাকা ৫০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ শেয়ার গত ১৭ জুন লকইন থেকে বেড়িয়ে যায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার লকইন মুক্ত হয়, যার পরিমান ৬২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার।
আজ (সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর) একমি ল্যাবের ৩০ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫টি শেয়ার ৬ হাজার ৩৫ বার লেনদেন হয়। যার বাজার মূল্য ৩২ কোটি ৭০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০৪ টাকা থেকে ১১১.৯০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে এবং সর্বশেষ দর ৫.৯৭ শতাংশ বা ৬.৩০ টাকা বেড়ে ১১১.৮০ টাকায় লেনদেন হয়।
উল্লেখ্য, লকইন হচ্ছে শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের উপর এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা। বুকবিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) নিলামে কেনা শেয়ারের উপর বিভিন্ন মেয়াদে লকইন থাকে। শুধুমাত্র যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investor), সহজ কথায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিভিন্ন স্বীকৃত তহবিল নিলামে অংশ নিয়ে শেয়ার কিনতে পারে।
পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫ অনুযায়ী, নিলামের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কেনা শেয়ারের ৫০ ভাগ লকইন মুক্ত থাকে। অর্থাৎ লেনদেন শুরুর প্রথম দিনেই ৫০ ভাগ শেয়ার বিক্রি করা যায়। বাকি ৫০ ভাগের মধ্যে ২৫ শতাংশের ওপর ৩ মাসের লকইন থাকে। আর বাকী ২৫ শতাংশের ওপর লকইন থাকে ৬ মাস। এই মেয়াদ প্রসপেক্টাস অনুমোদনের দিন থেকে গণনা করা হয়।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের একমি ল্যাবরেটরিজ কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে বাজারে ৫ কোটি শেয়ার ছাড়ে। পাবলিক ইস্যু রুল-২০১৫ অনুসারে আইপিওর মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু