আইপিও’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে এ্যাপোলো ইস্পাত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে (আইপিও) আসার সময় যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করছে। আইপিও’তে আসার আগে কোম্পানিটি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার মধ্যে একটি হচ্ছে নন অক্সিডাইজড ফার্নেস (এনওএফ) প্রজেক্ট করা। আর তার নির্মান কাজ প্রায় শেষ এবং চলতি বছরের নভেম্বরে প্রজেক্টটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারবে।
আগামী নভেম্বর মাসে এনওএফ প্রযুক্তিতে পন্য উৎপাদন শুরু করতে পারবে এপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড। উৎপাদন বৃদ্ধিতে চীনের ১০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল কোম্পানিতে এ প্রজেক্ট নির্মানে কাজ করছে। তারা মেশিন স্থাপন, সাময়িক ঝুঁকি এড়ানোর কৌশল এবং কোম্পানির উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছেন। এছাড়া তাদের সাথে রয়েছে ভারতীয় আরও একটি দল।
ইতিমধ্যে, এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সের কারখানা পরিদর্শন করেছেন তাইওয়ান ট্রেড মিশনের প্রধান চাইন নান খেও। তিনি কারখানা পরিদর্শন শেষে কোম্পানির কর্মপরিবেশ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এ্যাপোলোর সঙ্গে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য জোরদার করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে অবস্থিত এ্যাপোলো ইস্পাতের কারখানায় নতুন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ২০১৩ সালে আমদানি করা হয়। আইপিওর অর্থে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল।
আইপিও প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত কোম্পানি ২০১৩ সালে ২২০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করেছে। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ থেকে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ এবং ৬০ কোটি টাকা পরিবেশবান্ধব জার্মান প্রযুক্তির এনওএফ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধাণ অর্থ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোম্পানিটি আগামী নভেম্বরে নতুন এনওএফ প্রযুক্তিতে পন্য উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এতে কোম্পানির মোট উৎপাদনও বেড়ে যাবে। যা কোম্পানির মোট আয়ে প্রভাব ফেলবে। তবে কি পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানী প্রক্রিয়া এবং কতো টাকা ব্যয়ে উৎপাদন শুরু হচ্ছে তা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। অন্যান্য তথ্য আগামীতে প্রকাশ করা হবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু