যে কারণে আটকে আছে খুলনা প্রিন্টিংয়ের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ে তা বিনিয়োগকারীদের না দেয়ায় খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে অবশ্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড প্রদান করলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে আর বের করা হয়নি। আর এ নিয়েই হতাশ হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, কোম্পানিটি যেখানে ডিভিডেন্ড দিয়ে দিয়েছে সেখানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আটকে রাখার কোনো মানে হয় না। এতে শেয়ার লেনদেনে ম্যাচিউরিটির সময় বেশি অতিবাহিত হওয়া ও মার্জিন ঋণ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে ডিএসই বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, যেহেতু খুলনা প্রিন্টিং নির্ধারিত সময় ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি তাই আইন অনুযায়ী কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে কিন্তু আইন পরিপালন না করায় একে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতেই থাকতে হবে। তবে আগামী সময় যদি কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড ঘোষণার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে বিনিয়োগকারীদের প্রদান করে তাহলেই এর ক্যাটাগরি পরিবর্তন হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর খুলনা প্রিন্টিং জুন ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। কিন্তু কোম্পানিটি নির্ধারিত সময় ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি। যে কারণে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য ২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির ঘোষিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হয়।
জানা যায়, ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি নির্দিষ্ট সময়ে ডিভিডেন্ড বিতরনে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ডিএসইর লিস্টিং রেগুলেশন ২৯ বিধি পরিপালন হয়নি। আর সে কারণে কোম্পানির ক্যাটাগরি ‘এ’ থেকে ‘জেড’ এ নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, খুলনা প্রিন্টিং ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারলেও নির্ধারিত সময়ে তা বন্টন করতে পারেনি। তাই কোম্পানিটি ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন হয়েছে। তবে কোম্পানিটি আগামী বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি ডিএসইর লিস্টিং রেগুলেশন ২৯ বিধিমালা অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা, বিতরণ ও এজিএম অনুষ্ঠিত করতে পারে তাহলেই কোম্পানির ক্যাটাগরি ফের পরিবর্তন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, কেপিপিএল ২০১৪ সালে আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে অভিহিতমূল্যে ৪ কোটি শেয়ার ছেড়ে মোট ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। যদিও তালিকাভুক্তির আগেই কোম্পানিটির জমা দেওয়া প্রসপেক্টাসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আইপিও অনুমোদন নিয়েছিল। কিন্তু পরে কর্তৃপক্ষ ছাপাগত ভুল বলে কমিশনকে জানিয়ে দেয়। পরে আইপিওয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে।
৭৩ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৯.৭৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৪.৬৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৫.৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ওই বছরই বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। আর ২০১৫ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিলো।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর