আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

নিরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের খসড়া গাইড লাইন

bankশেয়ারবাজারনিউজ রিপোর্ট: ব্যাংকের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় বহি:নিরীক্ষিকের কার্যক্রম ও করণীয় সম্পর্কে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য খসড়া গাইডলাইনটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে ব্যাংকের বহি:নিরীক্ষকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ নজরদারীর পাশাপাশি নিরীক্ষা কাজে স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত গাইডলাইনের ওপর সংশ্লিষ্টদের মতামত দেওয়ার জন্য অনুৃরোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যাংকের সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষা সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যক্রম পরিচালনার সময় বহি:নিরীক্ষক কোন ব্যাংকে মিথ্যা বিবৃতি এবং ঝুঁকি শনাক্তকরণ ও মাত্রা নিরুপণের লক্ষ্যে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

বিষয়গুলো হলো: ব্যাংকের কাজের ধরণ অনুযায়ী লেনদেন পরিমাণ এবং স্বাভাবিক নিয়ম বর্হিভূত উল্লেখ্যযোগ্য লেনদেনের উপস্থিতি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ হিসাব পরিক্ষণ, কার্যকর ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতিতে তথ্য প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার কারণে যেন তা ভুল বা প্রতারণার দিকে ধাবিত হতে না পারে বিষয়গুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সংখ্যা, প্রসার/লক্ষ্য/উদ্দেশ্য/সুযোগ ও ভৌগোলিক/অবস্থানগত জটিলতার বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে।

ব্যবসায়িক লেনদেন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে উল্লেখ্যযোগ্য/গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন উপস্থিত এবং অফ-ব্যালেন্স সিট (Off-balance sheet item) যথাযথ পরিবীক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়াতে নিরীক্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ব্যাংকের অডিট কমিটির কাছে পেশ করবে।

সার্কুলার অনুযায়ী, ঋণ ও অগ্রিম শ্রেণীকরণ এবং ঋণ ক্ষতির প্রভিশনিং এর সঠিকতা যাচাই করে অডিট কমিটির কাছে পেশ করবে।

অধিকতর জটিল ফ্যাইন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টের (Financial Instrument) সঠিক মূল্য নিরূপণসহ ইন্সট্রুমেন্টসমূহের হিসাবের মান অডিট কমিটিকে পেশ করতে হবে।

ব্যাংক দায়ের ক্ষেত্রে বিশেষ করে কন্টিনজেন্ট দায় (এলসি খোলা, মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি) আইন, বিধি বা চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে উদ্ভূত দায়সহ অন্যান্য দায় উল্লেখ্য করতে হবে।

ব্যাংক ঝুঁকির ব্যবস্থাপনা, কার্যাবলী ও কৌশলের আলোকে ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে সংখ্যাগত ও গুণগত উভয় ধরণের ডিসক্লোজার পর্যাপ্ততা ও সমন্বয় করা হবে।

এছাড়া সংবিধিবদ্ধ রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে বহি:নিরীক্ষককে অবশ্যই বাংলাদেশ একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্য এবং ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯৯১ এর ৩৯(৩) ধারা, কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ২১৩ ধারা এবং ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ৪০ ধারার অধীনে অর্পিত দায়িত্ব পরিপালন করে অডিটিং ও রিপোর্টিং সম্পাদন করতে হবে।

তাছাড়া অডিট কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করার সময় ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৩৯(৪) ধারা অনুযায়ী বিশেষ রিপোর্টিং তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করবে। রিপোর্টে ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর কোন বিধান গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বা তা পরিপালন অনিয়ম হয়েছে তা প্রকাশ করা।

অডিটে প্রতারণা, ফৌজদারী অপরাধ, জাল-জালিয়াতি বা অনৈতিক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে কি না এবং লোকসানের কারণে কোম্পানী আইন ১৯৯১ এর ১৩ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী ব্যাংকের সংরক্ষিত মূলধন আবশ্যিক মূলধনের ৫০ শতাংশ নীচে নেমে গেছে কিনা। তা সর্ম্পকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা। এরপর অডিট কমিটির কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। পরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী চূড়ান্তকরণের আগে সভার আয়োজন করতে হবে।

এরপরই নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণ ও অনুমোদনের পূর্বে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩৬(২) বর্ণিত পক্ষসমূহ ব্যতীত অন্য কারও নিকট প্রকাশ করতে পারবে না।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.