আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত

GPH-sharebazarnews.comশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের জিপিএইচ ইস্পাত নতুন প্লান্টের জন্য অস্ট্রিয়া কভার্ড এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি (ইসিএ)’র আওতাধীন ৯ কোটি ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৪ মার্কিন ডলার মূল্যের মেয়াদী ঋণ নেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) তাদের স্মারকমূলে এ ঋণ অনুমোদন করেছে।

পাশাপাশি একই স্মারকমূলে কোম্পানিটিকে ৫৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯০ মার্কিন ডলার মূল্যের ডের্ফাড পেমেন্ট সুবিধা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে।

গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর জিপিএইচ কর্তৃপক্ষ উক্ত ঋণ গ্রহণের অনুমোদন বিষয়টি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে অবহিত করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, জার্মানীর বিএইচএফ ব্যাংক বাংলাদেশের ৫টি ব্যাংক কর্তৃক গঠিত কর্ন্সোটিয়ামের মাধ্যমে জিপিএইচ ইষ্পাতকে এ ঋণ দেওয়া হবে। এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে সাড়ে বারো বছর। সুদের হার ১.৪০ শতাংশ + ৬ মাস লাইবর (লন্ডন আন্তঃব্যাংক সুদের হার)।

অন্যদিকে ডের্ফাড পেমেন্টের সুবিধা প্রদানকারী সংস্থা হচ্ছে অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিস্ জিএমবিএইচ এবং এ ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল হচ্ছে পারফরমেন্স এক্সেপ্টেন্স সার্টিফিকেট ইস্যুর পর থেকে ৬ বছর ৩ মাস।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, এই নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হলে প্রতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে পারবো। এর মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স ৪০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর বাবদ ৬০ কোটি টাকা, কাস্টমস ডিউটি ১৪০ কোটি টাকা এবং বাকি ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন পোর্টের চার্জ হিসেবে দেওয়া হবে। বর্তমানে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের কারখানায় ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেট এবং ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন এমএস রড উৎপাদিত হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এমএস বিলেটের বার্ষিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ১০ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে এমএস রডের বার্ষিক উৎপাদন ৬ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন সম্ভব হবে। অর্থাৎ কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৫ গুণ বাড়বে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.