পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে: বাংলাদেশ ব্যাংক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) ৩য় পর্বের মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে সন্ত্রাস, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, জঙ্গীবাদ, মানিলন্ডারিং-সহ অন্যান্য অপরাধ নির্মূলে বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক মানে রয়েছে। আর এমন সুখবরে আমাদের দেশে ফরেইন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) এবং পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে, বলেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো: রাজী হাসান।
আজ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি) ৩য় পর্বের মিউচ্যুয়াল ইভ্যালুয়েশন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন অবশ্যই আমাদের দেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীকে উৎসাহী করবে। কেননা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে আমাদের দেশে আইন আছে এবং তার শাসনও আছে। কেননা এই ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট তৈরী করতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনের শাসনসহ সকল বিষয়কে পর্যালোচনা করতে হয়। আর তাতে আমরা উত্তীর্ণ হয়েছি এবং তাতে আমাদের কমপ্লায়েন কান্ট্রি বলা হয়েছে। এতে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে এবং মানি মার্কেটে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।
পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এই রিপোর্টটি ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এবং এপিজি’র ওয়েবসাইটে থাকবে। যে কোন বিদেশি বিনিয়োগকারী যখনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা ভাববেন তখনই এই রিপোর্ট তারা পার্যালোচনা করবেন। এরই ওপর নির্ভর করবে তাদের এ দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত। কেননা তারা এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন এ দেশে তাদের বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ।
পুঁজিবাজার থেকে টাকা পাচার হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এপিজি আমাদের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে এসব ইস্যুতে বৈঠক করেছে। তারা পুঁজিবাজারের দুটি মহাধসকেও পর্যবেক্ষণ করেছে। তাই বলা যায় সবদিক বিবেচনা করেই তারা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পুঁজিবাজার থেকে টাকা পাচারের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে মানিলন্ডারিংকে প্রতিরোধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু গাইডলাইন দেয়া রয়েছে। এই নিয়মগুলো পরিপালন করা হচ্ছে কিনা তা আমাদের পক্ষ থেকে এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তদারকী করা হচ্ছে এবং তা এপিজি থেকে আসা প্রতিনিধিরা বিস্তারিত ভাবে দেখে গেছেন। তার প্রভাবও আমাদের এই রিপোর্টে রয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগকে উদ্বুদ্ধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগেআছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশী বিনিয়োগে আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বেশকিছু ট্রেনিং এবং ক্যামেলকো কনফারেন্স আমরা করেছি। সেখানে দেশের বিনিয়োগবাজারের সুবিধা, থ্রেড এবং থ্রেডকে ওভারকাম করার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এতে বিদেশিরা এ দেশে বিনিয়োগের অবস্থা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্মক ধারণা পান। এর মাধ্যমে দেশে বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু