আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে নিশ্চিত মুনাফা: বাংলাদেশ ব্যাংক

bbশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড ও মূল্য আয় অনুপাতে (পিই রেশিও) দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এগিয়ে রয়েছে। তাই দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশের শেয়ারবাজার অত্যন্ত আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত ‘ইকনোমিক অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ডেভেলপমেন্টস’ শীর্ষক প্রান্তিক প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে এমনটাই দাবী করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরু পক্ষ পাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিক শেষে দেশের পুঁজিবাজারের ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমান ৩.৭৪। যা উপমহাদেশের বড় দুই পুঁজিবাজার ভারত ও শ্রীলংকার তুলনায় অনেকটাই বেশি। সর্বশেষ প্রান্তিকে ভারত ও শ্রীলংকার ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমাণ হয়েছে ১.৪৪ ও ৩.০৪। তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের পুঁজিবাজারের ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমান ছিল ৩.৮৯, ভারতে ১.৪৬ এবং শ্রীলংকায় ছিল ২.৪৮। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য এখনই সেরা সময়। তাই অপেক্ষাকৃত কম বিনিয়োগেই অধিক মুনাফা করা সম্ভব। বিশ্লেষকরা বলছেন, যথাযথ প্রচার-প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচীর মাধ্যেমে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব।

উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারদরের সঙ্গে বাৎসরিক ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুপাতকে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, শেয়ারপ্রতি মূল্য আয় অনুপাতের (পিই রেশিও) বিচারেও উপমহাদেশের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী। ভারত, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের পিই রেশিও কম অর্থাৎ বাজার পরিস্থিতি অধিক বিনিয়োগ উপযোগী। অর্থবছরের উল্লেখিত প্রান্তিকে ডিএসই’র সার্বিক পিই রেশিও’র পরিমাণ ছিল ১৪.৬৬। যেখানে একই সময় ভারতের ১৯.৮১ ও থাইল্যান্ডের পিই রেশিও ২২.৩৪। এর আগের প্রান্তিকে ডিএসই’র সার্বিক পিই রেশিও’র পরিমাণ ছিল ১৪.৮০। যেখানে একই সময় ভারতের ১৯.১২ ও থাইল্যান্ডের পিই রেশিও ছিল ২০.১১।

এর প্রভাবে সর্বশেষ এ প্রান্তিকে দেশের পুঁজিবাজারে প্রকৃত বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৪০ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০১৬ হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি এবং প্রবাসীরা দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। বিপরীতে বিদেশিরা এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে বিদেশিরা এক হাজার ৯০০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিল এবং এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরুপক্ষ পাল শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড এবং পিই রেশিও-তে আমাদের দেশের পুঁজিবাজার অনেক এগিয়ে রয়েছে। যা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.