ব্যাংকের বিনিয়োগ কমানোর সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখার জন্য ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দেয়া হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ও ভবিষ্যতে বাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে এ সময়সীমা দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাখার প্রস্তাব করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এর সাথে শীর্ষ ৫০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধি, ডিএসই’র সাবেক চেয়ারম্যান/প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র সদস্যদের সাথে চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ডিএসইর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বৈঠকে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা ২০১৪ সালের প্রথম তিন মাস ও ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনামূলক বাজার চিত্র তুলে ধরেন এবং ডিএসই কর্তৃক গৃহিত কিছু পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং ভবিষ্যতে বাজারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার সময়সীমা জুন ২০১৬ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত করা, ব্রোকারেজ হাউজের শাখা অফিস খোলা, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন পাস করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন, পুঁজিবাজারের জন্য বেইল আউট তহবিল গঠন, মার্কেট মেকার সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিএসইকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নতুন প্রোডাক্ট চালু, পুঁজিবাজারে আসা নতুন কোম্পানির সুশাসন ও গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য কোম্পানি কর্তৃক বাই ব্যাক আইন প্রণয়ন, শেয়ার নেটিং পদ্ধতি চালু, সিডিবিএল এর উন্নয়ন এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তাব করেন। ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ গভীর মনোযোগ সহকারে এ সমস্ত সুপারিশ লিপিবদ্ধ করেন এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএসই’র পরিচালক মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলী, রুহুল আমিন, ওয়ালিউল ইসলাম, খাজা গোলাম রসূল, শরীফ আনোয়ার হোসেন, ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ রকিবুর রহমান এবং আহসানুল ইসলাম টিটু এবং ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
শেয়ারবাজার/রু/সা