ডোরিন পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের সাম্প্রতিক শেয়ার দর বাড়ার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ ৩০ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৮৬ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, লভ্যাংশ ঘোষণা এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর’২০১৬ সময়ে প্রথম প্রান্তিকের সমন্বিত মুনাফা ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই হঠাৎ করে ১৭ অক্টোবর থেকে ডরিন পাওয়ারের শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে। আর কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার প্রেক্ষিতে এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উপ-পরিচালক মুসতারি জাহান ও শামসুর রহমানের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিএসইসি।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডরিন পাওয়ারের ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭১টি শেয়ার লেনদেন হয়। যার বাজারমূল্য ১৯৬ কোটি ৮৯ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এ সময়ে ডেরিন পাওয়ারের লেনদেনকৃত শেয়ারের পরিমাণ ছিল বাজারের মোট লেনদেনের ৬.৫২ শতাংশ। সর্বশেষ সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫২.৯০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার ডরিন পাওয়ারের ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৭টি শেয়ার মোট ৪ হাজার ১৫০ বার হাতবদল হয়। যার বাজার মূল্য ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। আর সর্বশেষ আজ রোববার কোম্পানিটির ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ২২১ টি শেয়ার মোট ৫ হাজার ২৬৫ বার হাত বদল হয়েছে। যার বাজারমূল্য ৩৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ারের শেয়ার ৮৩ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও তালিকাভুক্তির ১ মাস পরেই চলতি বছরের মে মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০.৭০ টাকায় নেমে আসে। এরপর থেকে চলতি অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে লভ্যাংশ ঘোষণা ও প্রথম প্রান্তিক প্রকাশকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই ১৭ অক্টোবর থেকে অস্বাভাবিকভাবে এ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকে। গত ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ডরিন পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকসহ সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪.৩৪ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.২৫ টাকা ও ৩৬ টাকা। তাছাড়া জুলাই-২০১৬ থেকে সেপ্টেম্বর-২০১৬ সময়ে তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাড়িয়েছে ২.২২ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৬ টাকা। এ কোম্পানির ৭৫ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে, ৯.৫৭ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, এবং ১৫.৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর