খোঁজ মিলেছে এয়ার এশিয়ার বিমানের
এয়ার এশিয়ার ভেঙে পড়া বিমান কিউ জেড ৮৫০১-এর ধ্বংসাশেষ পাওয়া গেছে জাভা সাগরে। ডুবুরি ও রোবটচালিত সাবমেরিন নামিয়ে নিখোঁজ বিমানের লেজের খানিকটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়। গত কয়েকদিন সোনার ইমেজে ধরা পড়ছে বিমানের নানা অংশ। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার মাধ্যমে জলের নিচে থাকা অংশের ছবি তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। বুধবার আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় সেই কাজে বড় রকমের সাফল্য পাওয়া যায়। এ দিন ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে উদ্ধারকারী দলের মুখ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত হয়ে জানিয়েছেন বিমানের লেজের অংশের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও নিশ্চিত হয়ে এ কথা বলছেন কারণ ছবিতে এয়ার এশিয়ার লোগোও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আগেই জানা গিয়েছিল যে বিমানের লেজের অংশেই ব্ল্যাকবক্স রয়েছে। আর যতক্ষণ না ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হচ্ছে ততক্ষণ দুর্ঘটনার কারণ কিছুতেই জানা যাবে না।
এই প্রথম প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের বড়সড় টুকরোর খোঁজ মেলার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হলো।
১৬২ জন যাত্রী-সহ ফ্লাইট ৮৫০১ ভেঙে পড়ার ১১ দিন পর আজই প্রথম বড়সড় সাফল্য পেলেন উদ্ধারকারীরা। সম্ভাব্য ‘ক্র্যাশ সাইট ’-এর ১৮ মাইল দূরত্বে হদিশ পাওয়া গেছে লেজের অংশের। তবে উদ্ধারকারী দলের মুখ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন ব্ল্যাকবক্সের হদিশ পাওয়া গেলেও উদ্ধারকাজ তাঁরা থামাবেন না। কারণ সবকটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়াই তাঁদের মূল লক্ষ্য । বিমানকর্মী সহ বিমানে মোট ১৬২ জন ছিলেন। যাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৯ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্লেনের লেজের অংশ পানির উপরে আনার জন্য ৯৫ জন ডুবুরি নামানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকারী দলের আশা এই অংশের মধ্যেই পাওয়া যাবে বেশিরভাগ মৃতদেহ। আপাতত জোরেসোরে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।