ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন লালী বা মোস্তাক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক হোল্ডারদের সংগঠন ডিএসই বোকার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। সংগঠন হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সংগঠনটির প্রথম নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এখনো বাকি রয়েছে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন। তবে সভাপতি পদে আহমেদ রশিদ লালী বা মোস্তাক আহমেদ সাদেক আসীন হতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এ সংগঠনের প্রথম নির্বাচন। নির্বাচনে ডিবিএ’র ২৪১ জন সদস্য তাদের ভোট প্রদান করেন। যেখানে এর নেতৃত্বদাতা হিসেবে ১৫ জনকে নির্বাচন করেন সদস্যরা। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধা ৭টায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে ডিবিএ’র দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। তবে তার আগে একই স্থানে বিকাল সাড়ে ৫টায় নির্বাচিত ১৫ জনের ভোটে এর সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
একই সাথে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতির পদের জন্য মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীনের জনপ্রিয়তার কথাও অনেকে বলছেন। এছাড়া ডিবিএল সিকিউরিটিজের মোহাম্মদ আলী হতে পারেন এর সিনিয়র সহ-সভাপতি বা সহ-সভাপতি।
ডিবিএ’র নির্বাচনে বিজয়ী ১৫ জন হলেন, ডিএসইর সাবেক সভাপতি ও রয়েল গ্রীন সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালি উল ইসলাম, ডিবিএল সিকিউরিটিজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন, এমডি শহিদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রাস্তি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেদোয়ানুল ইসলাম, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম, গ্লোবাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও, কান্ট্রি স্টক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা আসিফ আহমেদ, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম, থিয়া সিকিউরিটিজের মাহবুবুর রহমান, শাহেদ সিকিউরিটিজের শাহেদ আব্দুল খালেক এবং সাদ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন।
নির্বাচনে বিজয়ী ১৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া ৪ জন হলেন: প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম, এমডি শহিদুল্লাহ সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন দিলীপ,গ্লোবাল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও এবং মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন। মো: জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ২০৪ ভোট, শরীফ আনোয়ার হোসেন দিলীপ পেয়েছেন ২০৩ ভোট, রিচার্ড ডি রোজারিও পেয়েছেন ১৯৭ ভোট এবং খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন পেয়েছেন ১৯০ ভোট।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে হেরে গেছেন এরিস সিকিউরিটিজের মো: মাসুদুল হক, ই-সিকিউরিটিজের এম মোয়াজ্জেম হোসেন, কে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কনসালট্যান্ট লিমিটেডের দিল আফরোজ কামাল এবং পিপলস ইকুইটির কবির আহমেদ।
তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হারুন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ। কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন, গ্লোব সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান ও এম অ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু