আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ নভেম্বর ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

তিন কারণে অফলোড হচ্ছে না তিতাসের শেয়ার

titas-gasশেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আরও ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড প্রক্রিয়া থমকে আছে। বিষয়টি অনেকদূর পর্যন্ত গড়ালেও এখনো নিশ্চিত নয় সংশ্লিষ্টরা। এর পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির মুনাফা কমে যাওয়া, বর্তমান শেয়ার দর কম থাকা ও মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষাকেই দায়ী করা হচ্ছে।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করার সিদ্ধান্ত নেয় তিতাস। তবে অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানিটির মুনাফা গত এক বছরের ব্যবধানে আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। সেই সাথে কমেছে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস)। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির শেয়ার অফলোড করা হলে কোম্পানিটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তিতাস গ্যাসের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার অফলোডের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে। তবে সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে জ্বালানি খাতের এ কোম্পানিটির সরকারের হাতে থাকা ৭৫ শতাংশ শেয়ার থেকে আরও ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করা হবে। যা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে তিতাস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি পেট্রোবাংলার সাথে তিতাসের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তিতাসের শেয়ার অফলোডের বিষয়টি উঠে আসে। তার সাথে সাথে উঠে আসে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শেয়ার দর বেশি পাওয়া যাবে না। এরপর পেট্রোবাংলা এক চিঠির মাধ্যমে তিতাসের কাছে শেয়ার অফলোডের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চায়। তিতাস সেই চিঠির উত্তরে শেয়ার অফলোডের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। এখন শুধুমাত্র মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন পেলেই শেয়ার অফলোডের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগ তিতাসের আরও ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করা, না-করার বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগকে যৌক্তিক কারণ উলে­খপূর্বক সুস্পষ্ট মতামত চেয়েছে। আর এ বিষয়ে এখনও কোনো মতামত অর্থ মন্ত্রণালয়ে লিখিত আকারে জানায়নি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭৫ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩.৫৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১.৬০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৯.৮৪ শতাংশ শেয়ার আছে।

কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত বছরের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা আর পরিশোধিত মূলধন ৯৮৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারদর ৪৬.৬০ টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ৫৩.২০ টাকায়। সে হিসেবে গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৬.৬০ টাকা বা ১২.৪০ শতাংশ।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.