আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার |

kidarkar

তিন মাসের মধ্যে স্বল্প মূলধনীদের জন্য স্মল ক্যাপ

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আগামী তিন মাসের মধ্যেই আসছে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিদের আলাদা বোর্ড বা স্মল ক্যাপ। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য দেন। তিনি বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যেই স্বল্প মূলধনী কোম্পানির আলাদা বোর্ড বাজারে আনা হবে। তাতে বাজারে নতুন অর্থ যুক্ত হবে এবং জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদানও বাড়বে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ মার্কেট গঠনের কাজ শেষ করার থাকলেও তা আরও বেড়েছে দুই মাস। আগামী তিন মাসের মধ্যে স্বল্প পুঁজির কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আলাদা এই মার্কেট গঠনের বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এর পরপরই শুরু হবে মার্কেট গঠনের কাজ।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ নামে নতুন বাজার গঠনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। বিএসইসির ওই অনুমোদনে স্বল্পমূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। আর এসব কোম্পানির শেয়ার শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন।

এরই অংশ হিসেবে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে ইতোমধ্যে ‘কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) নীতিমালা ২০১৬’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে বিএসইসি। এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, পাঁচ কোটি টাকার কম মূলধনী কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না।

এ বিষয়ে বিএসইসির কাছে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে এ ধরনের মার্কেটের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এ মার্কেট নিয়ে আমাদের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। যথাসময়ে এ মার্কেট গঠনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।

ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ছোট মূলধনী কোম্পানি নিয়ে ভিন্ন বাজার তৈরি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আলাদা মার্কেট তৈরি হলে কেউ আর মূল মার্কেটে স্বল্প পুঁজির কোম্পানি নিয়ে কারসাজি করতে পারবে না। আলাদা মার্কেট গঠিত হলে সবাই বুঝতে পারবে ওই মার্কেটে কী ধরনের কোম্পানি রয়েছে।

স্বল্পমূলধনী কোম্পানির বৈশিষ্ট্য: কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিদের বোঝাবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে।

স্বল্প মূলধনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।

এ বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না এবং শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকবে। এ বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার কাগুজে শেয়ার হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো। আর শেয়ার লেনদেন হবে স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে।

শেয়ারবাজারনিউজ/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.