আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ ডিসেম্বর ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

ডোরিন পাওয়ারের তদন্ত মেয়াদ আরো ২০দিন বাড়লো

doreen power_ডোরিন পাওয়ার-ডরিন পাওয়ারশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের সাম্প্রতিক শেয়ার দর বাড়ার কারণ অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির মেয়াদ আরো ২০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করবে বলে বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, লভ্যাংশ ঘোষণা এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর’২০১৬ সময়ে প্রথম প্রান্তিকের সমন্বিত মুনাফা ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই হঠাৎ করে ১৭ অক্টোবর থেকে ডরিন পাওয়ারের শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে। আর কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার প্রেক্ষিতে এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উপ-পরিচালক মুসতারি জাহান ও শামসুর রহমানের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হয় নি। তাই তদন্তের প্রয়োজনে কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরো সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি ডোরিন পাওয়ারের শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির মেয়াদ আরো ২০ কার্যদিবস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ারের শেয়ার ৮৩ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও তালিকাভুক্তির ১ মাস পরেই চলতি বছরের মে মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫০.৭০ টাকায় নেমে আসে। এরপর থেকে চলতি অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে লভ্যাংশ ঘোষণা ও প্রথম প্রান্তিক প্রকাশকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই ১৭ অক্টোবর থেকে অস্বাভাবিকভাবে এ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে থাকে। গত ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ডরিন পাওয়ারের পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকসহ সকল বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪.৩৪ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.২৫ টাকা ও ৩৬ টাকা। তাছাড়া জুলাই-২০১৬ থেকে সেপ্টেম্বর-২০১৬ সময়ে তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাড়িয়েছে ২.২২ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৬ টাকা। এ কোম্পানির ৭৫ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে, ৯.৫৭ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, এবং ১৫.৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.