বাড়ছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ রোববার লেনদেনের শুরু থেকে মিশ্র প্রবণাতা থাকলেও শেষ দিকে ক্রয় চাপে সূচক বাড়তে থাকে সূচক। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। পাশাপাশি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৫ হাজারের দিকে এগুচ্ছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিনশেষে ডিএসইতে হয়েছে ৯৭৫ কোটি টাকা।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা থাকায় অনেক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধীরে ধীরে আস্থার সঞ্চার হচ্ছে। ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দেশের শেয়ারবাজার অনেকটাই বিনিয়োগ উপযোগী হয়ে উঠেছে। যার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশিরাও বিনিয়োগে সক্রিয় হচ্ছেন। এখন এ স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সরকার তথা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা উচিত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৯৩৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮০৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৯৭৫ কোটি ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৯২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮০৬ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৩ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪৮ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯২১২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু