এক্সপোজার ইস্যুর সুফল পাচ্ছে পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেষ মূহুর্তে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সোমবার লেনদেনের শুরু থেকে ধারাবাহিক উত্থান পতন থাকলেও শেষে ক্রয় চাপে সূচক বাড়তে শুরু করেছিল। এদিকে পাশাপাশি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৫ হাজারের দিকে এগুচ্ছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। আজ দিনশেষে ডিএসইতে হয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ লালী শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এখন বাজার একটা স্থিতিশীল আচরণ করছে যার মূলে রয়েছে সকলের আস্থা। দিনদিন বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে শুধু দেশীয় বিনিয়োগইনা বিদেশী বিনিয়োগও বাড়ছে, এখানে আস্থা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
রশীদ লালী আরো বলেন, বাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না। বাজার স্থিতিশীলতার বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ব্যাংকের ওভার এক্সপোজার ইস্যু, যার সময়োপযোগী একটা সমাধান দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেন আহমেদ রশীদ লালী।
সোমবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪৯৪১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৯৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪৯৩৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮০৩ পয়েন্টে। ওইদিন সাড়াদিনে লেনদেন হওয়া ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ১৪৬টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছিল ৯৭৫ কোটি ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ১.২৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯২১০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু