নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রফিট টেকিং মুডে পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে গত এক মাসে ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে সূচক বেড়েছে ১৭ কার্যদিবস। এ সময়ের মধ্যে ৬০৯ পয়েন্ট বৃদ্ধির বিপরীতে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্টেরও কম। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আস্থার সঙ্গে বাজারে প্রবেশ করেছে। যে কারণে বাজারে দৈনিক লেনদেন ও বাজার মূলধন প্রত্যাশা অনুযায়ী বেড়েছে। তবে গতকাল ও আজকে বাজার শুরুর দিকে সূচকের পতনকে লক্ষ্য করে কিছু বিনিয়োগকারীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, একটানা বাড়লে যেমন আতঙ্ক তৈরি হয় তেমনি সূচকের বড় পতনেও দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে যদি পুঁজিবাজার নিয়ে কেউ মিডিয়ার মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন তাহলে বিনিয়োগকারীদের বাজার নিয়ে আরো বেশি আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
এদিকে বর্তমান বাজার নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, সম্প্রতি বাজারে যে পরিমান টাকা প্রবেশ করেছে তা এতো তাড়াতাড়ি বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটানা বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সবাই কম-বেশি প্রফিট টেকিং মুডে রয়েছেন। তাছাড়া যারা মার্কেট মেকারের দায়িত্বে রয়েছেন তারাও চাচ্ছেন না একটানা বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকুক। তাই অনেকটা চাপ দিয়ে সূচকের পতন ঘটিয়ে বাজারকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এতে বাজারে একটি স্থায়ী স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট আহমেদ রশীদ আলী শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, বর্তমান বাজার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ। শেয়ারবাজারের সকল খাতের অবস্থা ভাল যাচ্ছে আর তার প্রতিফলন রয়েছে পুরো বাজারে। দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভাল, সরকার এবং সংশ্লিষ্টরা বাজারের প্রতি আগ্রহী, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে, শেয়ারদর অনেকদিন তলানীতে থাকায় এখন বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং বিদেশী বিনিয়োগের হার বাড়ছে। সব মিলিয়ে পুঁজিবাজারে উৎসব মূখর পরিবেশ চলছে। তবে এই বাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার আগে সবাইকেই সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। নেতিবাচক মন্তব্যে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয় বলে জানান আহমেদ রশীদ লালী।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা