আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জানুয়ারী ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

বাবাকে দেখে ছেলের মৃত্যু!

babaশেয়ারবাজার ডেস্ক: বাবা হাসানকে যখন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, তখন ছেলে সাজিদ মাখওয়ানার বয়স ছিল মাত্র ৪ বছর। দীর্ঘ ২৩টি বছর বাবার অভাব অনুভব করতে করতে যখন বাবাকে মুক্ত বাতাসে দেখলেন, তখন অতি খুশিতে প্রাণটাই উড়ে গেল সাজিদের।

হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রের কুলহারপুরের।

বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সী হাসানকে ১৯৯৬ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগের পর কলাম্বা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মঙ্গলবার মুক্তি পান তিনি। বাবার মুক্তির সংবাদে খুবই আকুলতা কাজ করছিল বর্তমানে যুবক সাজিদের। তার কাছে এ যেন ছিল হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো।

মুক্তির পর বাবাকে বরণ করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি গাড়িতে করে জেলখানায় উপস্থিত হন সাজিদ। জেলখানার গেটের উল্টোদিকে রাস্তার অপর পাশ থেকে তিনি যখন মুক্ত বাবাকে দেখে তাকে বরণ করতে এগিয়ে আসতে থাকেন তখনই অতি উত্তেজনায় বুকে ব্যাথা অনুভব করেন সাজিদ। তার খুশির সমাপ্তি ঘটে নিমিষেই। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ডাক্তার জানিয়ে দেন তার মৃত্যুর খবর।

জানা যায়, সাজিদ মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে একটি মোটর ড্রাইভিং স্কুল চালাতেন। বাবা হাসানের মুক্তির পর বিয়ের পিঁড়িতে বসার পরিকল্পনা ছিল সাজিদের।

১৭৭৭ সালে হাসানের সাথে সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর সে বছরই তাকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বাই পুলিশ।

কলাম্বা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সারদ সেলকে জানিয়েছেন, ১৯৯৬ সালে যাবজ্জীবন পাওয়ার পর হাসান কোনোদিন প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেননি। তিনি জেলখানার টেলিফোনে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতেন। গত সপ্তাহে আমরা রাজ্য সরকার থেকে একটি চিঠি পাই ১৭ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলেই তিনি মুক্তি পান।

সূত্র: টাইমস অব ইনডিয়া

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.