সাম্প্রতিক বাজার নিয়ে ব্যাখ্যা দিল ডিএসই
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে.এ.এম. মাজেদুর রহমান জানান, দেশের পুঁজিবাজার তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সব সময় যৌক্তিক, গতিশীল ও স্থায়ী বাজার গড়ে তুলতে কাজ করছে ডিএসই। তবে এই বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ভালো বাজারের পূর্বশর্ত হচ্ছে সচেতন বিনিয়োগকারী। টেকসই ও উন্নত পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্টেকহোল্ডারদের আইন পরিপালন করতে হবে।আজ ১৯ জানুয়ারি সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ডিএসইতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে ডিএসই‘র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বা পাচ্ছে তাতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কোম্পানি সম্পর্কে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিগত কয়েক বছর দেশের অর্থনীতি যে পরিমাণে এগিয়েছে, পুঁজিবাজার সেই গতিতে নিচের দিকে নেমেছে। কিন্তু এই সময়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। যার ফলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে; বৃদ্ধি পাচ্ছে সূচক ও লেনদেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাজারে বিনিয়োগের আগে কোম্পানির মৌলভিত্তি দেখেই বিনিয়োগ করতে হবে। ধার-দেনা করে, বোনের গয়না বেচে, বাড়ির গরু বেচে বিনিয়োগের দরকার নেই। খরচের অতিরিক্ত টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে মনে করছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পুঁজিবাজার বড় অবদান রাখতে পারে। যার ফলে বাজারের প্রতি তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। সূচক ও লেনদেন বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার হাত-বদল করছেন। যার ফলে বাজারের লেনদেন ও সূচক উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এক দৈনিককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহিম খালেদ জানান, পুরোনো খেলোয়াড়রাই পুজিবাজার নিয়ে আবার খেলায় মেতেছেন। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করলে রকিবুর রহমান বলেন, ইব্রাহিম খালেদের কথাটি সঠিক নয়, তিনি সবসময় মনগড়া ও এক তরফা কথা বলে যাচ্ছেন।
অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অর্থনীতিতে সেদেশের পুঁজিবাজারের অবদান ৭০ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৪০০ শতাংশ, আর আমাদের দেশে সেটি মাত্র ১৯ শতাংশ। আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। আর এই বড় অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করি। বহির্বিশ্বের তুলনায় আমাদের বাজার এখনো পিছিয়ে রয়েছে। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের পুঁজিবাজারকেও এগিয়ে নিতে হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, পরিচালক ড. আবুল হাশেম, পরিচালক রুহুল আমিনসহ স্টক এক্সচেঞ্জের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা