১১ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দ্বিতীয় প্রান্তিকের (জুলাই ১৬-ডিসেম্বর ১৬) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানি। এগুলো হলো- প্রিমিয়ার সিমেন্ট, রিজেন্ট টেক্সটইল, দেশ গার্মেন্টস, বারাকা পাওয়ার, ফু-ওয়াং ফুডস, একমি ল্যাবরেটরিজ, রেনেটা, এপেক্স ফুডস, এপেক্স স্পিনিং, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের এবং বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৮ টাকা।যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.০৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস কমেছে ০.১৮ টাকা বা ৮.৭৩ শতাংশ।
এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২.৯৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৮.০৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ৬.৬১ টাকা এবং এনএভি ছিল ২৯.৫২ টাকা।
রিজেন্ট টেক্সাটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.৩৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১২ টাকা বা ৩০.৭৬ শতাংশ।
এছাড়া আলোচিত সমেয় কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.৮৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯.২১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ০.০৮ টাকা (নেগেটিভ) এবং এনএভি ছিল ৩১.৩৭ টাকা।
এদিকে, গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’১৬) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ০.১৫ টাকা।
দেশ গার্মেন্টস: অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয়(ইপিএস) হয়েছে ৪.০১ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৯৮ টাকা।
এছাড়া আলোচিত সমেয় কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.২৮ টাকা (নেগেটিভ) এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৭.৭৯ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ৫.৮১ টাকা (নেগেটিভ) এবং এনএভি ছিল ১৩.৭৭ টাকা।
এদিকে, শেষ তিন মাসে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ২.০৭ টাকা।যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৩০ টাকা।
বারাকা পাওয়ার: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৬৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১.৫৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১০ টাকা বা ৬.৫৩ শতাংশ।
এছাড়া আলোচিত সমেয় কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪.১২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৯.১২ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ৪.৪৯ টাকা এবং এনএভি ছিল ১৯.৮৬ টাকা।
ফু-ওয়াং ফুড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২১ টাকা। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৭ টাকা। আলোচিত সময়ের কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৪৩ শতাংশ।
তাছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১১.৯৫ টাকা। ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির এনএভিপিএস ছিল ১১.৭৫ টাকা।
অর্ধবার্ষিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কার্যকর নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৪৯ টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫১ টাকা।
একমি ল্যাবরেটরিজ: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৬০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৯৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৬৭ টাকা বা ১৮.৬১ শতাংশ।
এছাড়া আলোচিত সমেয় কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪.০১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭৭.৪৩ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ৩.১৬ টাকা এবং এনএভি ছিল ৭৭.৩৪ টাকা।
রেনেটা: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০.০০ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭.১৭ টাকা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ শেষে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য হয়েছে ১৯২.২৯ টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭৯.৬৬ টাকা।
সর্বশেষ ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৬) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০.৬৭ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮.৫৪ টাকা।
অন্যদিকে, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপেক্স ফুডস: অর্ধবার্ষিকে (জুলাই ১৬-ডিসেম্বর ১৬) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৪ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৩.৩৮ টাকা।
এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য(এনএভি) হয়েছে ১১২.৮৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২.৫১ টাকা (মাইনাস)।
শেষ তিন মাসে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ০.৩৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১.৪৮ টাকা।
এপেক্স স্পিনিং: অর্ধবার্ষিকে (জুলাই ১৬-ডিসেম্বর ১৬) এপেক্স স্পিনিংয়ের শেয়ার প্রতি আয়(ইপিএস) হয়েছে ১.২৫ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৩৮ টাকা। ইপিএস কমেছে ১০ শতাংশ।
এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৫১.১২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫.৬৮ টাকা।
শেষ তিন মাসে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ০.৭৯ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৯১ টাকা। ইপিএস কমেছে ১৩ শতাংশ।
আলহাজ্ব টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭৫ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ইপিএস ছিল ০.৬৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৯ টাকা বা ১৩.৬৪ শতাংশ। একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৬) কোম্পানির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০.৩৩ টাকা (নেগেটিভ), যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২.৩৩ টাকা।
এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িয়ে ১৩.০৬ টাকা। যা ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ১৩.৫৪ টাকা।
এদিকে, গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর‘১৬) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৫৪ টাকা। যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪২ টাকা।
বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে এ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.২২ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.৭৬ টাকা। দেখা যাচ্ছে ইপিএস কমেছে ৩১ শতাংশ। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৮.৮১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকর প্রবাহ(এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৫৩ টাকা।
এদিকে, শেষ তিন মাসে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ০.৬৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১.১৩ টাকা। সেই হিসেবে কোম্পানিটির ইপিএস ৪২ শতাংশ কমেছে।