আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, মঙ্গলবার |

kidarkar

সিরিয়ায় গোপনে ১৩ হাজার বন্দিকে ফাঁসি

Amnesty Internatioalশেয়ারবাজার ডেস্ক: সিরিয়ার একটি কারাগারে গোপনে অন্তত ১৩ হাজার বন্দির ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিরোধী গ্রুপের বেসামরিক সমর্থক। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সিরিয়ার কুখ্যাত সেডনায়া কারাগারে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে গণহারে বন্দীদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
সিরীয় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় মৃত্যুদন্ডের আদেশগুলো অনুমোদন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বন্দীদের হত্যা বা তাদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সিরীয় সরকার।
অ্যামনেস্টি জানায়, ৮৪ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাদের মধ্যে সাবেক কারারক্ষী, বন্দী ও কারা কর্মকর্তা রয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত কারাগারটিতে উল্লেখিত সময়ে প্রতি সপ্তাহে এবং প্রায়ই সপ্তাহে দুবার ২০ থেকে ৫০ জন বন্দিকে গোপনে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারের জন্য বন্দিদের প্রথমে একটি সামরিক আদালতে নেওয়া হতো। সেখানে এক থেকে তিন মিনিটের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হতো।
সিরিয়ার সামরিক আদালতের এক সাবেক বিচারকের উদ্ধৃতি দিয়ে মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, বন্দিদের কাছে জানতে চাওয়া হত, তারা অপরাধ করেছে কি না। তবে উত্তর হ্যাঁ বা না যাই আসুক না কেন, বন্দীকে দ- দেয়া হত। ওই বিচারক বলেন, আদালতে আইনের শাসনের কোনো বালাই ছিল না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁসি কার্যকরের দিন সংশ্লিষ্ট বন্দীদের বলা হতো, তাদের বেসামরিক কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। এমন কথা বলে বন্দীদের ভূগর্ভস্থ সেলে নেয়া হতো এবং সেখানে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে তাদের পেটানো হতো।
মধ্যরাতে বন্দীদের চোখ বেঁধে কারাগারে অন্য অংশে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানেও ভূগর্ভস্থ একটি কক্ষে নিয়ে বন্দীদের ফাঁসিতে ঝোলানো হতো। পরে সামরিক ভূমিতে তাদের গণকবর দেয়া হতো।
অ্যামনেস্টির তথ্যানুযায়ী, পাঁচ বছরে পাঁচ থেকে ১৩ হাজার মানুষকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.