ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৬০ শতাংশ কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬০.৭১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ খাতের ২৮ কোম্পানির মধ্যে ১৭টির (৬০.৭১ শতাংশ) ইপিএস বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই ১৭ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল হ্যাভী কেমিক্যাল, সালভো কেমিক্যাল, ওয়াটা কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, একমি ল্যাব, ফার্মা এইডস, বেক্সিমকো ফার্মা, এসিআই, ইবনেসিনা, বিকন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, রেনাটা, এএফসি এগ্রো, এসিআই ফর্মূলেশন, এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং ওরিয়ন ফার্মা।
আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসব কোম্পানির ইপিএস বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ শেয়ারবাজারনিউজ ডট কম’কে বলেন, দেশের শিল্প বিকাশের সাথে সাথে বাড়ছে কেমিক্যালের চাহিদা, বাড়ছে আমাদের ওষুধ রপ্তানি বাজার। এছাড়া তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতে থাকা কয়েকটি কোম্পানির কোন প্রতিদ্বন্দী নেই। মূলত এসব কারণেই খাতটি’র বেশিরভাগ কোম্পানির ইপিএস বাড়ছে।
ইপিএস বাড়া ১৭ কোম্পানির মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্লোবাল হ্যাভী কেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ০.৫০ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.২৩ টাকা বা ৮৫.১৯ শতাংশ। সালভো কেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ০.৪১ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১২ টাকা বা ৪১.৩৭ শতাংশ।
ওয়াটা কেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ২.১৬ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৫৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৫৮ টাকা বা ৩৬.৭১ শতাংশ। সেন্ট্রাল ফার্মার ইপিএস হয়েছে ০.৭৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.৫৫ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১৮ টাকা বা ৩২.৭৩ শতাংশ। একমি ল্যাবের ইপিএস হয়েছে ৩.৬০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ২.৯৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৬৭ টাকা বা ২২.৮৭ শতাংশ।
ফার্মা এইডের ইপিএস হয়েছে ৪.৯০ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪.০১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৮৯ টাকা বা ২২.১৯ শতাংশ। বেক্সিমকো ফার্মার ইপিএস হয়েছে ২.৭৪ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২.৩৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৪১ টাকা বা ১৭.৬০ শতাংশ। এসিআই’র ইপিএস হয়েছে ১২.৮৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১০.৯৪ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ১.৮৯ টাকা বা ১৭.২৮ শতাংশ।
ইবনেসিনা’র ইপিএস হয়েছে ৫.৬২ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪.৮০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৮২ টাকা বা ১৭.০৮ শতাংশ। বিকন ফার্মার ইপিএস হয়েছে ০.১৪ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ০.১২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০২ টাকা বা ১৬.৬৭ শতাংশ। স্কয়ার ফার্মার ইপিএস হয়েছে ৭.১১ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬.১০ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০১ টাকা বা ১৬.৫৬ শতাংশ।
রেনাটা’র ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৭.১৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ২.৮৩ টাকা বা ১৬.৪৮ শতাংশ। এএফসি এগ্রো’র ইপিএস হয়েছে ১.৬৭ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৪৯ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.১৮ টাকা বা ১২.০৮ শতাংশ। এসিআই ফর্মূলেশনের ইপিএস হয়েছে ৩.৮৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩.৪৭ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৩৬ টাকা বা ১০.৩৭ শতাংশ।
একটিভ ফাইন কেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ১.৬৬ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১.৬১ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৫ টাকা বা ৩.১১ শতাংশ। জেএমআই সিরিঞ্জের ইপিএস হয়েছে ২.৪১ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২.৩৬ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.০৫ টাকা বা ২.১২ শতাংশ। সর্বশেষ ওরিয়ন ফার্মা’র ইপিএস হয়েছে ২.৪৬ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৪৬ টাকা বা ২ শতাংশ।
শেয়ারবাজারনিউজ/রু