আবার ঘুরে দাঁড়াল বাজার: যারা পেনিক সেল দেয়নি তারাই সফল হচ্ছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: টানা তিন কার্যদিবস ধরে সূচক বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দৈনিক লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমাণ। কিছুদিন আগেও বাজারে পেনিক সেলের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কোনো ইস্যু না থাকলেও প্রফিট টেকিং এবং প্যানিক সেলের কারণে এক প্রকার ভালোই কারেকশনের মুখে পড়ে যায় পুঁজিবাজার। তবে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মন্দা সময় যারা প্যানিক সেল দেয়নি তারাই এখন সফল হচ্ছে।
গত দুই কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজও সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরু থেকেই ক্রয় চাপে টানা বাড়তে থাকে সূচক। এরই ধারাবাহিকতায় সূচক উল্লেখ্য পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা।
এদিকে, দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৪৮৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯৯৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮১টির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ মঙ্গলবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫৩৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯৬৭ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৭৮ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ২০৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু/ম.সা