নেগেটিভ ইকুইটি খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের কাছে বিও হিসাব সংখ্যা সহ ঋণাত্মক ইকুইটির তথ্য জানতে চাইবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
পাশাপাশি প্রতি মাসে ঋণাত্মক ইকুইটির হালনাগাদ তথ্য কমিশনে পাঠানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৩ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছর আরো ছয় মাস ঋণাত্মক ইক্যুইটি হিসাবে লেনদেন বন্ধের (মার্জিণ রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৩(৫)) উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিএসইসি। এতে যেসব বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে তারাও শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকারস এসোসিয়েশন (ডিবিএ) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত দিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্টদের দাবী এতে শেয়ারবাজারের স্বার্থ রক্ষা হবে।
কিন্তু বর্তমানে নেগেটিভ ইকুইটির পরিমাণ কিংবা এ সম্পর্কিত পোর্টফোলিও সংখ্যার কোন তথ্য বিএসইসির কাছে নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, এতোদিন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়নি। তবে এখন কমিশন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইবে। কিছুদিনের মধ্যেই নেগেটিভ ইকুইটির তথ্য হালনাগাদ তথ্য পাঠানোর নির্দেশ পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ডিএসই সহ সংশ্লিষ্টদের দাবীর মুখে এতোদিন কমিশন স্থগিতাদেশ দিয়ে এসেছে। তাছাড়া বাজার ধসের কারণে এর যৌক্তিকতাও ছিল। কিন্তু যতদূর জানি অনেক প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থেই যেভাবে হোক নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয় করে ফেলেছে। অথচ দাবী উঠেছে নেগেটিভ ইকুইটির কারণে বাজার পড়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য তলব করা হবে।
শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী আইসিবি তাদের নেগেটিভ ইকুইটি প্রায় সমন্বয় করে ফেলেছে। আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার-উজ-জামান শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমের সঙ্গে এক স্বাক্ষাতকারে বলেন, মার্জিন গ্রাহেকের সুদ মওকুফ করে এবং বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা সংগ্রহ করে নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয় করেছি।
উল্লেখ্য শেয়ারবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পোষাতে সরকার আইপিও কোটা, স্বল্প সুদে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল প্রভৃতি সহায়তাও দিয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ