বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: কমার্সিয়াল পেপারে (সিপি) সকল তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও প্রবিধি বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিপি’তে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ‘গাইডলাইন অন কমার্সিয়াল পেপার(সিপি) ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। কমার্সিয়াল পেপারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে গাইডলাইনটির ধার ৪ এর উপধারা ‘ডি’ সংশোধন করা হয়েছে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কমার্সিয়াল পেপার ছেড়ে টাকা সংগ্রহে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলোর সব ধরণের অশ্রেণীকৃত ঋণের ক্ষেত্রে (স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট ব্যাতিত) ক্রেডিট ইনফর্মেশন ব্যুরো(সিআইবি) রিপোর্ট স্ট্যান্ডার্ড হতে হবে। এছাড়া গত এক বছরে কোম্পানিগুলোর শ্রেণীকৃত (ক্লাসিফাইড) ঋণের রেকর্ড থাকতে পারবে না।
এর আগে ধারাটিতে বলা হয়েছিল, সিআইবি রিপোর্ট ‘স্ট্যান্ডার্ড’ হওয়ার পাশাপাশি ২ বছর শ্রেণীকৃত (ক্লাসিফাইড) ঋণের রেকর্ড থাকতে পারবে না।
জানা যায়, সিপি’তে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ‘গাইডলাইন অন কমার্সিয়াল পেপার(সিপি) ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক গাইডলাইন জারি করা হয়েছিল। গাইডলাইনে বলা হয়েছে কোন ব্যাংক টাকা সংগ্রহের জন্য কমার্সিয়াল পেপার ইস্যু করতে পারবে না। এমনকি কোম্পানির হয়ে সিপি’র গ্যারান্টারও হতে পারবে না ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে কমার্সিয়াল পেপারে বিনিয়োগ করতে পারবে।
গাইড লাইনে বলা হয়েছে, কমার্সিয়াল পেপার ইস্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানিটির সম্পদ সর্বশেষ নিরীক্ষায় ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে। পাশাপাশি কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা তিন বছর পজেটিভ থাকতে হবে। সিপি’তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ইস্যুয়ার কোম্পানির টাকা পরিশোধে সক্ষমতা যাচাই করতে হবে।
এছাড়া কোন ব্যাংক একক সিপ ‘তে ২০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। পাশাপাশি সিপি’তে বিনিয়োগ ব্যাংকের টায়ার-১ ক্যাপিটালের ১০ শতাংশে বেশি হতে পারবে না।
সিপি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সিপি হচ্ছে মানি-মার্কেটে স্বল্প মেয়াদি টাকা সংগ্রহের একটি ইন্সট্রুমেন্ট। সিপি’র মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৭দিন এবং সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য টাকা সংগ্রহ করা যায়।
উল্লেখ্য গত বছর সিপি ইস্যু করে লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ১৫০ কোটি টাকা এবং আমান ফিড ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ