ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতকে আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শুরু হয়েছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (আইবিসিসিআই) এর উদ্যোগে ৪র্থ ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ার ২০১৭। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ার’র উদ্বোধনী করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্ক সংক্রান্ত বাধার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই ভোগান্তি দূর করতে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ সংক্রান্ত বাধা দূর করতে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক অন্যান্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। সামনের দিনগুলোতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারেরর বিনিয়োগ এখন পাইপলাইনে আছে। আশা করছি এই বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখন রফতানিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতিবছরই রফতানি বাড়ছে। ভারতে আমাদের প্রচুর পণ্য রফতানি হয়। বর্তমানে ভারতের বাজারে ৭০০ মিলিয়র ডলারের পণ্য রফতানি করা সম্ভব। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার জন্য ‘ইন্দো-বাংলা ট্রেড ফেয়ার’ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিয়েট একে খান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যতীব্রত ব্যানার্জি ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) অভিজিৎ ব্যানার্জি।
উল্লেখ্য, ৩দিন ব্যাপী এই মেলায় ভারত এবং বাংলাদেশের ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ নিয়েছে। মেলায় আগত প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে অটোমোবাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল, হোম এপ্লায়েন্স, পেইন্টস, ব্যাকিং সেবা, পাওয়ার জেনারেশন, ইন্স্যুরেন্স, টেক্সটাইল, সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারের মত বিশেষায়িত খাতের অগ্রগ্রামী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের পন্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর