আইপিও কোম্পানির শেয়ারে কার কেমন পারফর্মেন্স? দেখে নিন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: শেয়ারবাজার থেকে ২০১৬ বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১১ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো বাজার থেকে মোট ৯০৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলেছে। আর এ নতুন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনের শুরু প্রথম দিনে ভাল পারফর্মেন্স দেখাতে পারলেও শেষদিনে তেমন কোন ভাল কিছু দেখাতে পারেনি।
গত বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড হলো: একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালটেন্ট লিমিটেড (আইটিসি), ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন, ফরচুন সুজ, ড্রাগন সোয়েটার, ইভিন্স টেক্সটাইল, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এবং এসইএমএল লেকচারার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
গত বছরের উপরোক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথমদিনে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ফরচুন সুজের। কোম্পানিটি লেনদেন শুরুর প্রথমদিনে শেয়ার দর বেড়েছিলো ৫০১ শতাংশ। আর প্রথমদিনে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের। প্রথমদিনে ফান্ডটির ইউনিট দর কমেছে ৫ শতাংশ।
প্রথমদিনে শেয়ার দর বাড়ার অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ার দর বেড়েছিলো ৫৩.১০ শতাংশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৮৩ শতাংশ, আইটিসির ৩৭৭ শতাংশ, ডোরিন পাওয়ার জেনারেশনের ১৮৮.৬০ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটারের ৮৮ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১৩৫ শতাংশ এবং ইয়াকিন পলিমারের ২১৮ শতাংশ। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৩০ শতাংশ এবং এসইএমএল লেকচারার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছেলো ৩৬ শতাংশ।
এদিকে, বছরের শেষদিনে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়ার মধ্যে রয়েছে ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স। শেষদিনে কোম্পানিগুলো শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ২২.২০ শতাংশ এবং ২.২০ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি কমেছে আইটিসির। কোম্পানির শেয়ার দর ০.৮০ শতংশ কমেছে।
দর কমার অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে একমি ল্যাবরেটরিজের ১৬ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটারের ৪.৩০ শতাংশ, ইভিন্স টেক্সটাইলের ১৯.৬০ শতাংশ, ফরসুজের ১৫.৫০ শতাংশ এবং ইয়াকিন পলিমারের ২১৮ শতাংশ। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ২৯.২০ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের ৬.৩০ শতাংশ এবং এসইএমএল লেকচারার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ২৫.৫০ শতাংশ।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর