আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

ঔষধে কর অব্যাহতি দিবে সরকার: তালিকা চেয়ে চিঠি

drugsশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ঔষধ প্রশাসনের কাছে মূল্য সংযোজন কর(মূসক) পরিশোধ থেকে অব্যাহতির জন্য জীবন রক্ষাকারী ঔষধের একটি সম্পূর্ণ তালিকা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর)। তা না হলে জুলাই মাসে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন মূসক আইনে জীবন রক্ষাকারী ঔষধে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট শাখা থেকে সম্প্রতি একটি চিঠির মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালকে তালিকা পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে মূসক আইন বাস্তাবায়নের আগে অব্যাহতির তালিকায় ঔষধের নামগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

পাশাপাশি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জেনেরিক, ওষুধের ব্র্যান্ড নাম  এবং তাদের বিবরণ, কাস্টমসের সংখ্যা ও এইচএস কোড নম্বর উল্লেখ করে তালিকা পাঠাতে বলেছে এনবিআর।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন,  জীবন রক্ষাকারী ঔষধের তালিকা মূসক আইনের প্রথম তফসিলে মূসক-অব্যাহতি পণ্যে যুক্ত করা জরুরী।

ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ অনুযায়ী, আমদানিকৃত কিংবা দেশে উৎপাদিত জীবনরক্ষক ঔষধে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু আইনে জীবনরক্ষক ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু নেই।

এ বিষয়ে কর্মকর্তারা বলেন, নতুন মূসক আইন বাস্তবায়ন হলে নতুন করে কোন পণ্যে মূসক অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ সরকারের থাকবে না।

নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, সরকার শুধুমাত্র জাতীয় জরুরি অবস্থায় করমুক্তি দিতে পারে।

মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এ বলা হয়েছে, সরকার বছরের যে কোনো সময়ে সংসদ থেকে সম্মতি গ্রহণ ছাড়াই সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক অর্ডার ও গেজেট নোটিফিকেশন জারি মাধ্যমে অব্যাহতি দিতে পারবে। কিন্তু নতুন মূসক আইনে এ সুযোগ নেই। আর চলতি বছরের জুলাই থেকে মূসক আইন-২০১২ বাস্তবায়ন করা হবে।

তাই মূসক আইন বাস্তবায়নের আগে জীবনরক্ষক ঔষধের নাম তফসিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যা সংসদ থেকে অনুমোদন হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এনবিআর সংসদে বাজেট প্রস্তাব দিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে জীবন রক্ষাকারী তালিকা স্থাপন করবে। আর নতুন মূসক আইনে জীবন রক্ষাকারী ঔষধের তালিকা যুক্ত না করা হলে তফসিল অনুযায়ী এসব পণ্যে ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপিত হবে।

নতুন মূসক আইন অনুযায়ী, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার নতুন কোন পণ্যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মূসক অব্যাহতি দিতে পারবে। তবে বিষয়টি পরবর্তীতে অর্থ আইনে যুক্ত করতে হবে। তা না হলে পণ্যের উপর জরুরী ভিত্তিতে দেওয়া মূসক অব্যাহতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

জীবন রক্ষাকারী ঔষধ যেমন: খাবার সেলাইন, রাইস সেলাইন, বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টি-বায়োটিক প্রভৃতি।

নতুন আইনে এসব ঔষধে মূসক অব্যাহতি হলে জন সাধারণ কম মূল্যে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ কিনতে পারবেন।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে ঔষধ ও রসায়ন খাতের ২৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ১২টি কোম্পানি সরাসরি ঔষধ উৎপাদন করছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/এমআর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.