আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

বুদ্ধিমান মানুষরা জীবনে কখনো সুখী হয়না, কারণ…

int-bg-20170223221738শেয়ারবাজার ডেস্ক: অধ্যাবসায় যতই ধন্যি হোক, বিদ্যা-বুদ্ধিরও অনেক বিড়ম্বনা রয়েছে। আর তা বুদ্ধিমান মানুষদেরই পোহাতে হয়৷ জীবনে তাঁদের সুখ নামক বস্তুটি থাকে না বললেই চলে৷ মনের শান্তি হামেশা পালিয়ে যায় যুক্তির জানালা দিয়ে৷ কেন এমনটা হয়? গবেষকরা মনে করছেন তাঁর কারণ-

অত্যধিক চিন্তা: বুদ্ধিমান মানুষের মন হামেশা প্রশ্নশীল হয়৷ সমস্ত ঘটনার কারণ নিয়ে প্রচুর কৌতুহল থাকে তাঁদের৷ যতক্ষণ না উত্তর পান, ততক্ষণ সেই নিয়েই চলতে চিন্তা৷ আর এই চিন্তাই মনকে অশান্ত করে তোলে৷ অশান্ত মনে সুখের স্থান কই?

উচ্চাকাঙ্খা: অল্পেতে যেমন দামোদর শেঠ খুশি হন না, তেমনি বুদ্ধিমান মানুষরাও জীবনে ছোটখাট প্রাপ্তিতে খুশি হন না৷ জীবন থেকে তাঁদের চাহিদা অনেক অনেক বেশি৷ কিন্তু জীবনে সমস্ত চাহিদা তো আর পূরণ হয় না? তাই সুখও তাঁদের জীবনে স্থায়ী হয় না৷

অর্থবহ আলোচনা:  সবার বুদ্ধির বহর এক নয়৷ তাই সবার সঙ্গে সব কথা সমানভাবে আলোচনা করা যায় না৷ বুদ্ধিমান মানুষরা তো একদমই পারেন না সবার সঙ্গে সমানভাবে মিশতে৷ যদি তাঁদের মনে হয় সামনের মানুষটাও তাঁর কথার অর্থ বুঝতে সক্ষম, তবেই তাঁরা সেই আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারেন এবং আলোচনা করে সন্তুষ্ট হন৷

বাড়তি প্রত্যাশা:  বুদ্ধিমান মানুষের জীবনের কাছে প্রচুর প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না৷ তাঁরা সেই বিষয়টি একেবারেই গ্রহণ করতে পারেন না। কেন তাঁরা প্রত্যাশিত জিনিসটি পেলেন না৷ তা ভাবতে বসেই জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়। তাই জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তাঁদের কাছে সুখ অধরা থেকে যায়।

নিজের সমালোচনা:  বুদ্ধিমান মানুষ অন্যের ভুল দেখার আগে নিজের ভুলটা খুঁজে দেখেন। এই অভ্যাসের ফলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়ে ওঠেন৷ যার ফল তাঁদের প্রায় সারা জীবন ভুগতে হয়।

বুদ্ধির এই গেরোতেই সুখ পালিয়ে যায় বুদ্ধিমান মানুষের জীবন থেকে। আর এর ফলেই অধিকাংশ বুদ্ধিমান মানুষই একটা সময়ের পর মানসিক রোগে ভুগতে থাকেন বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

শেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.