আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

কেমন যাচ্ছে চলতি বছরে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসা

shephard-industriesশেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মুনাফা চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৬.৪৯ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি জানায়, নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। কারণ কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি দায়বদ্ধ। তাছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কারণে কোম্পানিটির দায়বদ্ধতা আরো বেড়েছে। কারণ এখন থেকে প্রতিবছর নিয়মিত ডিভিডেন্ড দিতে হবে। তবে কোম্পানির বর্তমান ম্যানেজমেন্ট এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬২৯ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা। যা এর আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৬ টাকা এবং ইপিএস ১৫ পয়সা। দেখা যাচ্ছে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৩৬.৪৯ শথাংশ বেড়েছে। উল্লেখ্য, কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬০ টাকা এবং শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৬টি। বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ধরে কোম্পানির ইপিএস হিসাব করা হয়েছে।

এছাড়া প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৮.৯১ টাকা (সম্পদ মূল্যায়ন শেষে)। যা এর আগের বছর ছিল ১৮.৭০ টাকা। সম্পদ মূল্যায় ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে এনএভি ১৩.৬২ টাকা। যা এর আগের বছর ছিল ১৩.৩৯ টাকা।

এ বিষয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে জানান, গত কয়েক বছর ধরে বস্ত্র খাতের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। এছাড়া উৎপাদন খরচও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এর মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে।

এদিকে এপ্রিল, ২০১৫ থেকে মার্চ, ২০১৬ পর্যন্ত হিসাব বছরে কোম্পানি কর পরিশোধের পর নীট মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং ইপিএস ১.২৬ টাকা। উল্লেখ্য, কোম্পানিটি মার্চ ক্লোজিং ছিল এবং ইপিএস বর্তমান মূলধন অনুযায়ী শেয়ার সংখ্যায় হিসাব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তলন করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে কোম্পানিটির আইপিও লটারি সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে লটারিতে বিজয়ী শেয়ারহোল্ডারদের হিসাবে শেয়ার জমার প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে কোম্পানিটি। এসব কাজ সম্পন্ন হলে এক্সচেঞ্জে লেনদেনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.