আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

৮ কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন জমা: শিগগিরই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৮ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিশনের কাছে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি  জমা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছে। শিগগিরই প্রতিবেদনটি নিয়ে কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ বিচারিক কার্যক্রম শুরু করবে।

কোম্পানিগুলো হলো- রহিমা ফুড, ফাইন ফুড লিমিটেড, বিডি অটোকার্স, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, ঝিল বাংলা সুগার মিলস, ইমাম বাটন এবং শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড।

এর আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিএসইসির ৫৯২তম কমিশন সভায় এ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এ তদন্ত গঠন করা হয়।

জানা যায়, জেড ক্যাটাগরিতে থাকা এই ৮ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ঋণাত্মক হওয়া সত্তেও শেয়ার দর সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তাই রহিমা ফুড বাদে অন্যান্য কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর বাড়ার কারন খতিয়ে দেখতে মো. গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক এবং মোহাম্মদ রাকিবুল রহমান, সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে ২ সদ্যস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশও দেওয়া হয়।

বিএসইসি সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানো হবে। সেখানে আইনি যাচাই বাছাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে শুনানি হবে।  এতে দোষী প্রমাণিত হলে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি গঠনের পূর্বের এক মাসে রহিমা ফুডের শেয়ার দর ৫১ টাকা থেকে ১৬৫ শতাংশ বেড়ে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। একই ভাবে ফাইন ফুডসের শেয়ার দর ৯.২০ টাকা থেকে ১৬৩ শতাংশ বেড়ে ২৪.২০ টাকা; বিডি অটোকার ৪৩ টাকা থেকে ১০৭ শতাংশ বেড়ে ৮৯ টাকা; মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ ৫.১০ টাকা থেকে  ১১৮ শতাংশ বেড়ে ১১.১০ টাকা; মেঘনা কনডেন্স মিল্ক ৬ টাকা থেকে ১১৭ শতাংশ বেড়ে ১৩ টাকা; ঝিল বাংলা সুগার ১৬ টাকা থেকে ১৮১ শতাংশ বেড়ে ৪৫ টাকা; ইমাম বাটন ১১ টাকা থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৯.৯০ টাকা এবং শ্যামপুর সুগার মিলস ১১ টাকা থেকে ১৫২ শতাংশ বেড়ে ২৮.৬০ টাকা পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছিল।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম ভাগে শেষে রহিমা ফুড শেয়ার প্রতি লোকসান ২৬ পয়সা; মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের লোকসান ১৯ পয়সা; মেঘনা কনডেস্ক এর লোকসান ১ টাকা ৩৮ পয়সা; ঝিলবাংলা সুগারের লোকসান ২৪ টাকা ১ পযসা; ইমাম বাটনের লোকসান ৫৫ পয়সা এবং শ্যামপুর সুগারের লোকসান ৩৪ টাকা ৯৯ পয়সা।

তবে একই সময়ে ফাইন ফুডসের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪১ পয়সা এবং বিডি অটোকারের ইপিএস ১৪ পয়সা। অর্থাৎ এ কোম্পানি দুটি মুনাফায় রয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.